Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরাতন সাতক্ষীরায় ভোগদখলীয় জমির ইট লুট, বৃক্ষ নিধন ও জমি দখলের পাঁয়তারা করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। জমির মালিক না হয়েও এই চক্রটি অবৈধভাবে অন্যের জমি দখলের অপেচষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা জানান, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও এই চক্রটি অন্যের জমির সীমানা বেড়া ভেঙ্গে ৪ হাজার ইট লুট ও ৬০টি বৃক্ষ কর্তন করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা বাঁধা দিতে গেলে তাদেরও অস্ত্রের ভয় এবং জীবননাশের হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। জেলা পুলিশের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী। এ চক্রের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে রেহাই পেতে ১৬ জুলাই সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ করেছেন জিএম মিজানুর রহমান।

জমির মালিক মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি ২৩৭ নং সাব কোবলা মূলে ক্রয়কৃত জমি আমরা ভোগদখল করে আসছি। রামচন্দ্রপুর মৌজার খতিয়াণ নং- এসএ ৬৬, এসএ দাগ ৬৭০, ৭০৮, ৭০৯, ৬৮২, ৬৮৩। হাল দাগ ৭৫৫, ৭৭৫, ৭৪৫, ৮২৯ জমিতে লুটপাট ও দখলের পায়তারা করছে। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।’

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ৯ জুলাই শামসুর রহমান সরদারের ছেলে আছাদুল ইসলাম (৫০), রবিউল ইসলাম (৪০), আজহারুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান (২৬), মৃত সেকেন্দার সরদারের ছেলে শামছুর সরদার (৬৫), শামছুর সরদারের ছেলে আজহারুল ইসলাম (৪৩)সহ ১৫-২০ জন মিলে মৃত জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী ছাকিনা খাতুন ও জিএম বাবর আলীর ছেলে জিএম মিজানুর রহমানের কোবলামূলে ক্রয়কৃত সম্পত্তির বেড়া ভাংচুর করে ৩০টি আম গাছ, ১০টি মেহগনি গাছ এবং ২০টি লেবু গাছ কেটে ফেলে। জমিতে নির্মাণ কাজের জন্য রাখা ৪ হাজার ইট ভ্যানে করে নিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা বাঁধা দিতে আসলে তাদেরকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রের ভয় এবং জীবননাশের হুমকি দেয়। সন্ত্রাসী বাহিনীর এ তান্ডবে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে।

এব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল ও ভুক্তভোগী পরিবারটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *