Spread the love

মাসুদ পারভেজ, কালিগঞ্জ: করোনাভাইরাস সংক্রামন প্রতিরোধে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক রাসেলের নির্দেশনায় উপজেলার ইউনিয়ন উপজেলা কৃষি অফিস ব্যবস্থাপনায় ও কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস ও উপজেলা মৎস্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় মোবাইলের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে মালামাল বিক্রয় ও ভ্রাম্যমান বাজার কার্যক্রম সাধারণ মানুষের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে।

১১০ টি ভ্যানযোগে ভ্রাম্যমান বাজার এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষের বাড়িতে সবজি বিক্রয় করছে। এছাড়া উপজেলা মৎস্য অফিসার শফিকুল ইসলাম এর ব্যবস্থাপনায় অন্যের মোবাইলের মাধ্যমে কালিগঞ্জ ফ্রেশ এন্ড সেভফিস মার্কেট চালু হয়েছে। মোবাইলে অর্ডার পেলে বাগদা গলদা চিংড়ি, হরিনা চিংড়ি, ভেটকি, টেংরা, মনোসেক্স তেলাপিয়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিক্রয় হচ্ছে।

কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাঈদ মেহেদী জানান, উপজেলা প্রশাসন পরামর্শে বর্তমান ক্রান্তিলগ্নে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে উপজেলা মৎস্য অফিস ও কৃষি অফিস অনলাইন মোবাইল মার্কেটিং কার্যক্রম শুরু করেছে। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, বর্তমান ঘরে থেকে মালামাল ক্রয়ের জন্য এই বাজারের কার্যক্রমকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক রাসেল জানান, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ঘরে বসে কেনাকাটা করছে সাধারণ মানুষ। উপজেলায় প্রায় সকল ব্যবসাকে অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

কালিগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাস সংক্রামন প্রতিরোধে সাধারণ মানুষ যাতে তাদের প্রয়োজনীয় বাজারের মাছ ঘরে বসে পেতে পারে সেজন্য কালিগঞ্জ ফ্রেশ এন্ড সেভফিশ মার্কেট চালু করা হয়েছে। ক্রেতাসাধারণ অনলাইন ফোনকলের মাধ্যমে চাহিদা জানালেই ন্যায্যমূল্যে বিভিন্ন ধরনের মাছ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে গ্রামের বাড়িতে।

তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে ঘরে থাকা মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক রাসেল ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর অনুপ্রেরণায় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় চালু হয়েছে এই কালিগঞ্জ ফ্রেস এন্ড সেভফিশ মার্কেট।

কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুহুল আমিন জানান, উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ১১০টি ভ্যানযোগে ভ্রাম্যমান বাজার গ্রামের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় শাকসবজি, ফলমূলসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিচ্ছি, ফলে ক্রেতা সাধারণ বাইরে না এসে সুলভ মূল্যে বাড়িতে বসেই বাজার করতে পারছে। অন্যদিকে কর্মহীন মানুষ ভ্যানযোগে বাজার কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হয়ে তারা ভালো আয়-রোজগার করছে।

তিনি আরো বলেন, শুধু করোনাভাইরাসের সময় নয় সারাবছর এ কার্যক্রম চালানোর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি। বর্তমানে ভ্রাম্যমান ভ্যানযোগে কাঁচা বাজার এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ভালো সাড়া জাগিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *