Spread the love

নাহিদ হাসান শাহিন: বিশেষজ্ঞগন বলছেন বাংলাদেশ সংক্রামন বিস্তারনের তৃতীয় ধাপে চলে এসেছে। এর পর যদি রোগ বিস্তার শুরু করে আমাদের কিছু করার থাকবে না। তাই বার বার সরকার থেকে বলা হচ্ছে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করা। কিন্তু আমরা বিষয়টাকে অন্য ভাবে হয়তো নিয়ে ফেলেছি সেই জন্য আমরা এখন অবাধে চলাফেরা থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখতে পারছিনা। হয়তো ভাবছি সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করা মানে আমরা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছি। আবার কোয়ারেন্টাইন মানে আমি সমাজের চোখে অপরাধি। ব্যাপারটা তেমন না আমরা যদি আগামী ৬-১০ দিন এই সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে পারি তাহলে এই করোনা সংক্রামন অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।

ইতালিতে এই ভয়াভয় পরিস্থিতির সুত্রপাত ধারনা করা হচ্ছে এক ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে যেখানে ৪০ হাজারের বেশি দর্শক উপস্থিত ছিল। তাহলে বোঝায় যায় এই ভাইরাস কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই বার বার সামাজিক দুরত্ব এর কথা বলা হচ্ছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাহির হতে নিষেধ করা হচ্ছে। এই সম্পর্কে বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন আমেরিকান নর্থ-ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড্যানিয়েল আল্ডরিখের মতে, এই ‘সামাজিক দূরত্ব’-এর অর্থ অনেকাংশে ভুল হতে পারে।

মনে হতে পারে, সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হচ্ছে। তার চেয়ে ব্যাপারটা এভাবে ভাবলে ভালো হয় যে সামাজিক যোগাযোগ রাখতে কোনো বাধা নেই, স্রেফ শারীরিকভাবে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে কয়েকটা দিন।

তিনি বলছেন, ‘এই সংকটের সময়ে এই সামাজিক যোগাযোগ সংক্রান্ত যেকোনো শব্দই খুব স্পর্শকাতর বিষয় হয়ে উঠছে। গবেষণায় দেখছি, এর ফলে মানুষজনের মধ্যেকার স্বাভাবিক টান আলগা হয়ে গিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো অনেকে আচরণ করছেন। এই সময়টা যুদ্ধ পরিস্থিতির চেয়ে কিছু কম
ভয়াবহ নয় ঠিক কিন্তু এখানে তো কোনো মানুষ একে অন্যের শত্রুপক্ষ নয়।’

তাই সতর্কতার জন্য এমন কোনো শব্দ ব্যবহার উচিত নয় যাতে মানুষের মধ্যকার সামাজিক আচরণ পরিবর্তন হয়ে যায়, বলছেন তারা।

আল্ডরিখের উদ্বেগ বিশেষত বয়স্কদের নিয়ে। কারণ, তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের (সোশ্যাল মিডিয়া) সঙ্গে সেভাবে যুক্ত নন। তাদের কাছে জনসংযোগ মানেই সরাসরি দেখা করা, কথা বলা। ফলে তাদের কাছে ‘সামাজিক দূরত্ব’ শব্দটাই অনেকটা ধাক্কার। বরং তাদের এভাবে যদি বোঝানো যায় যে, দেখা-সাক্ষাৎ সবই হোক, কিন্তু শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে, তাহলে ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়ে যায়।

সাধারণ জনগনের এই দুরত্ব নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটা কর্মী তাদের জায়গা থেকে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সচেতনতা ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রতিটি দোর গোড়ায়।জরুরি পণ্যের দোকান ছাড়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানগুলোর সামনে সেগুলোর ক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর মাধ্যমে ওইসব দোকানের সামনে সাদা রঙের প্রলেপ দিয়ে রেখা অঙ্কন করে দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে আসা ব্যক্তিরা গোল বৃত্তাকার দাগের মধ্যে থেকে পণ্য কিনছেন। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় থাকায় সুরক্ষা পাচ্ছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।

ছাত্রলীগের ছেলেরা সারা দেশের অধিকাংশ শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়গুলোতে সড়ক লিখনের মাধ্যমে করোনা সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
সামাজিক দুরত্ব মানে কেউ ভাববেন না আমরা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি।আমরাতো সবাই একই ছাদের নিচে আমদের সুর্য একটাই মনের দিক থেকে আমরা সবাই একই সরলরেখায় অবস্থান করছি৷ সবাই এখন এক যুদ্ধের যোদ্ধা। সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করাই আমাদের এখন বড় যুদ্ধ। এ যুদ্ধে আমরা জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।
ঘরে থাকুন নিরাপদে থাকুন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর সহায় হবে, ইনশাআল্লাহ্।

লেখক: মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সাধারণ সম্পাদক
মাষ্টারদা’ সূর্যসেন হল ছাত্রলীগ,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *