এসভি ডেস্ক: যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে মারপিট করে জখম করার একটি মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামী আব্দুর রউফের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান ওই আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলার শুভংকারকাটি গ্রামের আব্দুল মোতালেব দফাদারের কন্যা রিক্তা পারভীনের সাথে ২০১২ সালে বিয়ে হয় একই উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মৃত দাউদ আলী বিশ্বাসের পুত্র সোনালী ব্যাংক, কলারোয়া শাখার সিনিয়র অফিসার মো. আব্দুর রউফের। বিয়ের পর আব্দুর রউফ রিক্তার পিতার নিকট থেকে জমি ক্রয়ের জন্য যৌতুক বাবদ ৮ লক্ষ টাকা নেন কিন্তু জমি না কিনে আব্দুর রউফ আরও ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করতে থাকে রিক্তার পিতার নিকট। অবশেষে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক না পেয়ে গত বছরের ২৮ মে রাতে রিক্তাকে ধারালো দা দিয়ে এবং গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে আব্দুর রউফ। ওই ঘটনায় রিক্তা পারভীন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ হাজ্জাজ মাহমুদ আসামী আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেওয়ায় মামলাটি বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে প্রেরণ করা হয়। গত ২৮ জানুয়ারী আসামী আব্দুর রউফ আদালতে হাজির হয়ে মিমাংসার শর্তে জামিনের আবেদন করলে বিচারক ৩ সপ্তাহের জন্য জামিন মঞ্জুর করেন।
পরবর্তীতে ১৭ ফেব্রুয়ারি আসামী আব্দুর রউফ আদালতে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে বিচারক ফের ৩ সপ্তাহ জামিন বর্ধিত করেন কিন্তু ইতোমধ্যে আসামী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রউফ স্ত্রীর সাথে আপোষ- মিমাংসা না করে গতকাল আদালতে আবারো স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান তার আবেদন না-মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, বিশেষ পিপি এড. জহুরুল হায়দার বাবু এবং আসামী পক্ষে ছিলেন, এড. মোস্তফা আসাদুজ্জামান দিলু।
সূত্র: পত্রদূত