Spread the love

দেবহাটা প্রতিনিধি: পানের বরজ থেকে কয়েকটি পানপাতা ছেড়ার অপরাধে অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক ছাত্রকে ৩ ঘন্টা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পান বরজের মালিক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ।

এছাড়া শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে ওই শিশুকে পিঠমোড়া করে বেঁধে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরানো হয়। পরে রাত ৮টার দিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর সখিপুর মোড়ের সিরাজুলের চায়ের দোকান থেকে অসুস্থ্য অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে স্বজনরা।

ওই শিশুর নাম মোস্তাফিজুর রহমান(১৩)। সে সখিপুর গ্রামের শেখ শফিকুল ইসলামের ছেলে ও চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট ও জখমের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। 

মোস্তাফিজুর রহমানের স্বজনরা জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে খেলার সময় বাড়ীর পাশে থাকা নারিকেলি গ্রামের ভোনাই সরদারের ছেলে সমর সরদারের পানের বরজ থেকে কয়েকটি পানপাতা ছেড়ে মোস্তাফিজুর। এসময় পান ছেড়ার অপরাধে মোস্তাফিজুরকে আটক করে গামছা দিয়ে পিঠমোড়া করে বেঁধে মারপিট করতে শুরু করে পান বরজের মালিক সমর সরদার, কর্মচারী চাদপুর গ্রামের মফিজউদ্দীনের ছেলে আশরাফুলসহ তার লোকজন। পরে মারপিট শেষে পিটমোড়া করে বাঁধা অবস্থায় মোটর সাইকেল যোগে প্রথমে ঈদগাহ বাজার ও পরে গাজীরহাট বাজার এবং সর্বশেষ সখিপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নির্যাতন শেষে সখিপুর মোড়ে সিরাজুলের চায়ের দোকানে আটকে রাখে।

এদিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর মোস্তাফিজুরকে খুঁজে না পেয়ে একপর্যায়ে তাকে মারপিট ও নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পারে শিশুটির পরিবার।  রাত ৮টার দিকে সখিপুর মোড়ের সিরাজুলের চায়ের দোকান থেকে মোস্তাফিজুরকে তার পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে এবং অসুস্থ্য অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এব্যাপারে পান বরজের মালিক সমর সরদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে খুজে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *