Spread the love

শেখ বাদশা, আশাশুনি: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকেকেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের গদাইপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানাগেছে।

স্থানীয়রা জানান, জনৈক মঞ্জুর হোসেনের মৎস্য ঘেরের মধ্যে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ডালিমের সমর্থকরা তাদের জমি বের করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

বৃহস্পতিবার ঘেরে গিয়ে তারা তাদের জমি দখল নেয়। এনিয়ে চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম সমর্থকদের সাথে প্রতিপক্ষ সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুছের সমর্থকদের মধ্যে শুক্রবার বিকাল থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এতে প্রতিপক্ষের হাতে চেয়ারম্যান ডালিমের সমর্থক গদাইপুর গ্রামের মৃত ছবেদ মোল্যার পুত্র ছোট নুনু, আজানুর গাজীর পুত্র জাকির, আনারুল মোল্যার পুত্র মোস্তাকিম, কুদ্দুছ সরদারের পুত্র হিমু ও জামশেদ মোল্যার পুত্র মোস্তাকিম আহত হয়েছেন।

অপর পক্ষের রব্বানী মোল্যার পুত্র মফিজুল, গফুর মোল্যার পুত্র হাসান ও শহিদুল মোল্যার পুত্র শিমুল আহত হয়েছেন।

চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ডালিম বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে রুহুল কুদ্দুছ গ্রুপের সরবত, শিমুল ও মজিদ দলবল নিয়ে গদাইপুর মৎস্য সেটে তার লোকজনকে ধাওয়া করে বোমা বিস্ফোড়ন ও হামলা চালায়। এতে তার ৫ জন আহত হয়েছে। পরে এলাকার শত শত মানুষ পালটা ধাওয়া করলে তারা পিছু হটে।

সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুছ বলেন, চাঁদা না পেয়ে মঞ্জুরের ঘেরের পাট বন্ধ করে দেয় চেয়ারম্যানের লোকজন। ঘের মালিক এসপি মহোদয়ের কাছে আবেদন করেন। পুলিশ শুক্রবার তদন্তে আসেন। এনিয়ে বিকালে তাদের লোকজনের উপর চেয়ারম্যানের লোকজন হামলা চালায়।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত আছে। অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কাউকে গ্রেফতার বা এখনো কোন মামলা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *