Spread the love

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলার দূদলী গ্রামে গোলাম মোস্তফার নিজস্ব জমিতে পাকাঘর বাঁধাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিদের মারপিট ও চাঁদাবাজীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ ডিসেম্বর বিকালে দূদলী নতুন হাটখোলা নামক স্থানে। মারপিটের ঘটনায় গোলাম মোস্তফা ও তার ভাই শিমুরেজা কলেজের প্রভাষক আবু হাসানকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

এব্যাপারে উপজেলার দুদলী গ্রামের আহম্মাদ আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে কালিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার পানিয়া গ্রামের নাসির উদ্দিন মোল্লার পুত্র মনিরুল ইসলাম মনি (৩৫) তার ভাই রনি (৩০), একই গ্রামে মাহাবুবের পুত্র সোহাগ (৩০), দুদলী গ্রামের সাকের আহমদ গাজীর পুত্র জিএম মামুন (৩০), খাজাবাড়িয়া গ্রামের আতিয়ার রহমানসহ অজ্ঞাত নামা ৮/১০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে ভূক্তভোগী গোলাম মোস্তফার দূদলী মৌজার দীর্ঘ দিন ভোগ দখলীয় সম্পতিতে পাঁকা ঘর নির্মাণের সময় আসামিরা বাঁধাদেয় এবং মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে।

ঘটনাটি উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী ও স্থানীয় মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইনে কাছে মামুন গং এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে, তারা ভূমিহীন এলাকার মানুষের কাছ থেকে চাঁদা উঠাচ্ছে। ওই বিষয়ে বুধবার বিকালে নতুন হাটের চাতালে উপজেলা চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে উভয় পক্ষকে ডেকে সালিশের মাধ্যমে মিমাংশার চেষ্ঠা করলে মামুন গং উত্তেজিত হয়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্ঠা চালায়। এক পর্যায়ে রহিমা খাতুন পা পিছলে চাতালে পড়ে যেয়ে আহত হয়।

এ ঘটনাকে পুঁজি করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী ভূমিহীন দেন পূনরবাসনের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে। অথচ ভূমিহীন পূনরবাসনের নামে স্থানীয় কতিপয় ব্যাক্তি মনি, রনি ও মামুন গং বিভিন্ন ভূমিহীনদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করে। এ নিয়ে সাধারন মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *