Spread the love

এসভি ডেস্ক: নব্বই দশক থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ৪৫ বছর বয়সী সাতক্ষীরা সদরের ধূলিহর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু সানা।

সম্প্রতি একটি মহল নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের মত্ত নেশায় পাগল হয়ে বাবু সানার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অপপ্রচারে মেতে উঠেছেন।

তবে এমন অপপ্রচারে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,  ৯০এর দশক থেকে সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের বর্তমান সাধারণ-সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলামের হাত ধরেই আওয়ামী রাজনীতিতে পথচলা বাবু সানার। সেসময় বাবু সানার সাথে বর্তমান সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক আব্দুর রশিদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। আব্দুর রশিদ ও ওই সময় জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সাধারণ-সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলামের মাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। 

বাবু সানা আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিত প্রাণ জানিয়ে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক আব্দুর রশিদ বলেন, বাবু সানা ও আমি একসাথে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ি ৯০ এর দশকে। পরবর্তীতে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী (বর্তমান সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান) আলহাজ্ব নজরুল ইসলামের নির্বাচনী কার্যক্রমে তার সাথে সদর উপজেলার বাঁশদহা ও আমাদের ধূলিহর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় ভাবে দায়িত্ব পালন করি।

বাবু সানার ব্যাপারে সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা হলে ধুলিহর ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলেন, ‘আমাদের জানামতে বাবু সানা আওয়ামীলীগকে মনে প্রাণে ভালবাসেন।  তিনি আওয়ামীলীগ করায় বিভিন্ন সময়ে প্রতিপক্ষদের হামলার শিকার হয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৩-১৪ সালে জামায়াত বিএনপির দেশব্যাপী নৈরাজ্য জ্বালাও-পোড়াও হরতাল-অবরোধের সময় নিজের জীবনবাজী রেখেও তিনি  রাজপথে ছিলেন। এতেকরে বাবু সানার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা।’ 

অনুসন্ধানে জানা যায়, ৯০ এর দশক থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে বাবু সানা জড়িয়ে পড়লেও খাতাকলমে ২০০৩ সালে তিনি ধূলিহর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন। তখনকার কমিটির সভাপতি ছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য জালাল উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন হাসান হাদি। 

৯০’র দশক থেকে তাদের সহযোদ্ধা বাবু সানা জানিয়ে জালাল উদ্দীন ও  হাসান হাদি বলেন, ‘বাবু সানা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং আমাদের তৎকালিন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।’

নেতৃত্বগুণে বাবু সানা দক্ষ সংগঠক হওয়ায় ২০০৪ সালে ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িক্ত দেওয়া হয় তাকে। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের মান্নান-বাবুর ( বর্তমান সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান ও জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান  সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু) কমিটিতে বাবু সানাকে ১৬ নং সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়।

সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বাবু সানা ২০০৪ সাল থেকে আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সাথে সক্রীয় ভূমিকা রাখে এবং পরবর্তীতে তিনি ২০০৬ সালে আমাদের  (মান্নান-বাবু) কমিটির সদস্যে হিসেবে দায়িক্ত গ্রহণ করেন।’

যুবলীগের সভাপতি পদ থেকে দায়িক্ত ছাড়ার পরে বাবু সানা ২০০৯-১৪ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১৪ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্যে দলীয় মনোনয়ন পান । ওই নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বাবু সানা। ৯০ দশক হতে আওয়ামী রাজনীতির পরও একটি মহল বাবু সানাকে অনুপ্রবেশ কারী হিসেবে মিথ্যা নাটক মঞ্চস্থ করার হীন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

বাবু সানা একজন প্রকৃত আওয়ামীলীগার সেটি স্থানীয় বি.এন.পির সভাপতি কবির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক লেয়াকত হোসেনের কথায় প্রমাণ মেলে।

তারা বলেন, ‘আমাদের জানামতে বাবু সানা অনেক দিন যাবৎ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।তিনি বি.এন.পির রাজনীতির সাথে কখনো জড়িত ছিলেন না।  নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারনে বাবু সানাকে জড়িয়ে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে শুনেছি। তবে সেটা একান্ত তাদের দলীয় ও ব্যক্তিগত ব্যাপার।’

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস,এম শওকত হোসেন বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারী হিসেব যে তথ্য রটানো হচ্ছে সেটি একটি অপপ্রচার মাত্র। বাবু সানা ৯০ এর দশক থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত।’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *