এসভি ডেস্ক: নায়েবের চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় তদন্ত রিপোর্ট বিপক্ষে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এক কৃষক।
কৃষকের নাম আব্দুল করিম। তিনি সাতক্ষীরা সদরের বাউকোলা গ্রামের মৃত আজিহার রহমানের ছেলে।
কুশখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কৃষক আব্দুল করিম বলেন, বাউকোলা মৌজার এস, এ ৩০৬, ৪৪১, ৪৯০,৪৮৩ নং খতিয়ানের ২৬৬,২৬৭,২৬২,২৭৮,২৭৯, ও ৮০৫ দাগে ৮৩ শতক জমি আমরা ক্রয় সূত্রে মালিক। জমি ক্রয় করে আমি সেখানে বসত বাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করছি। কিন্তু বাউকোলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী হাচিনা খাতুন ওই জমি তার উল্লেখ করে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিঃ আদালতে ১৪৫ দারায় একটি মামলা করে। ওই মামালার তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করার জন্য কুশখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবকে নির্দেশ দেয় আদালত।
এরপর নায়েব আমাকে দেখা করতে বললে আমি নায়েবের সাথে দেখা করি। তখন নায়েব আমার কাছে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। আমি গরীব মানুষ এতো টাকা দিতে না পারায় নায়েব আমাকে ও আমার সাথে থাকা লোকজনকে হুমকি ধামকি দিয়ে তফসিল অফিস থেকে বের করে দেয়। এরপর বাদির কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে আমার বসবাসকৃত জমি আমার দখলে নেই জানিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করে কুশখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব মোহাম্মদ আলী।
আব্দুল করিম আরো বলেন, নায়েব কোন দিন আমাদের ওই জমিতে যায় নি। নায়েব যদি সরেজমিনে যেতো এবং আমি যদি নায়েবকে ২০ হাজার টাকা দিতাম তবে কখনও ওই তদন্ত প্রতিবেদন আমার বিপক্ষে দিত না।
কৃষকের বক্তব্য শুনতে এখানে ক্লিক করুন…..
এদিকে সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, আব্দুল করিম স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ওই জমিতে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করছে। ওই জমিতে পাকা ঘর বানানোর জন্য ভিত নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে তাদের রান্নাঘর, গোয়ালগর আছে। ওই জমি আব্দুল করিমের দখলে।
তবে কুশখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব গাজী মোহাম্মদ আলী বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন যদি মনে হয় ভুল দিয়েছি তবে বিবাদীকে নারাজি দিতে বলেন। নারাজি দিলে আবার তদন্ত হবে।
টাকা চাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিপোর্ট বিপক্ষে গেলে সবাই ওই কথাই বলে। আমি কারো সাথে টাকার ব্যাপারে কোন কথা বলিনি।