Spread the love

এসভি ডেস্ক: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই ছেলে শামীম সাঈদী ও মাসুদ সাঈদী। জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই লড়তে হবে তাদের। তবে ২০ দলীয় জোটের প্রধান দল হিসেবে এতে বিএনপিরও সম্মতির প্রয়োজন আছে। তারা ছাড় দিলেই নির্বাচনে লড়বেন সাঈদীপুত্রদ্বয়।

২০১৩ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। তবে আপিলের রায়ে ২০১৪ সালে তা বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাঈদী পিরোজপুর-১ আসন থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত হওয়ায় এবার আর ভোটে লড়তে পারবেন না।

এ কারণে তার বদলে বড় ছেলে শামীম সাঈদীকে পিরোজপুর-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার কথা ভাবছে জামায়াত। এছাড়া ছোট ছেলে মাসুদ সাঈদীকেও দেখা যেতে পারে পিরোজপুর-২ আসনের প্রার্থী হিসেবে।

সূত্র জানায়, আসন দুটিতে সাঈদীপুত্রদ্বয় ছাড়াও বিএনপি ও জোটের আরও কয়েকজন নেতা প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দারের নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি পিরোজপুর-১ আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী।

এ বিষয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ দণ্ডপ্রাপ্ত নেতাদের স্বজনদের সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই পুত্রকেই মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।

তবে, দণ্ডপ্রাপ্ত আর কোনও নেতার স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও জানান জামায়াতের এই কেন্দ্রীয় নেতা।