Spread the love

এস ভি ডেস্ক: ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে বিদায় করে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল উরুগুয়ে। এদিনসন কাভানির জোড়া গোলে ২-১ এ শেষ ষোলোর বাধা পেরোল সাবেক চ্যাম্পিয়নরা

। উরুগুয়ে প্রথমে এগিয়ে গেলেও পর্তুগাল সবার আগে সুযোগ তৈরি করে। ৬ মিনিটে বার্নার্দো সিলভা বল বাড়িয়ে দেন বক্সের প্রান্তে রোনালদোর দিকে। কিন্তু পর্তুগিজ অধিনায়কের নিচু শট আটকে দিতে খুব বেশি পরিশ্রম হয়নি উরুগুয়ে গোলরক্ষক মুসলেরাকে।

পরের মিনিটেই গোলমুখ খোলে প্রথম বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। অষ্টম মিনিটে লুই সুয়ারেসের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় কাভানি করেন ১-০। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে তিনি পাঠান ‍সুয়ারেসের কাছে। তারপর ছুটে যান ডিবক্সের মধ্যে।

বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের নিখুঁত ক্রস ধরে সফল হেডে উরুগুয়েকে এগিয়ে দেন কাভানি। ১১ মিনিটে সুযোগ তৈরি করেছিল পর্তুগাল। কর্নার থেকে দূরের পোস্টে বল পান ফন্তে। কিন্তু তার হেড গোলপোস্টের পাশ দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়। পর্তুগাল গোলরক্ষক প্যাট্রিসো ২২ মিনিট সুয়ারেসের নিচু ফ্রি কিক বাঁ দিকের পোস্টে লাফিয়ে পড়ে ঠেকান। রোনালদো ৩২ মিনিটে ফ্রি কিক নিয়েছিলেন, কিন্তু উরুগুয়ের রক্ষণ দেয়ালে বল বাধা পেলে তার চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড বাকি সময় উরুগুয়ের রক্ষণভাগকে হুমকির মধ্যে ফেলতে পারেননি। দিয়েগো গদিন ও হোসে মারিয়া হিমেনেসের রক্ষণভাগ তাকে প্রথমার্ধে আটকাতে সফল হয়। এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় উরুগুয়ে। প্রথম তিন ম্যাচ গোলমুখ সামলে রাখা উরুগুয়ে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এই বিশ্বকাপের প্রথম গোল হজম করে। ৫৫ মিনিট কর্নার থেকে গুয়েরেরোর ক্রস রোনালদোর মাথার উপর দিয়ে পেপের কাছে পৌঁছায়। মুসলেরার পাশ দিয়ে জালে বল জড়ান পর্তুগিজ ডিফেন্ডার।

কিছুক্ষণ পর আবার এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। ৬২ মিনিটে বেনতানকুরের পাস থেকে বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে ডান পায়ের দারুণ জাদুতে দ্বিতীয় গোল করেন কাভানি। প্যাট্রিসিওর কয়েক হাত সামনে দিয়ে জালে আঁছড়ে পড়ে বল। ৭০ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে পর্তুগাল। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া একটি শট হাতে রাখতে পারেননি মুসলেরা।

ততক্ষণে তার চোখের সামনে বল পায়ে পান সিলভা, কিন্তু তার শট গোলবারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায় মাঠের বাইরে। পা মচকানোয় ৭১ মিনিটে মাঠের বাইরে যেতে বাধ্য হন কাভানি। প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক রোনালদোর কাঁধে চড়ে মাঠের বাইরে যান এ স্ট্রাইকার। তার বদলি হয়ে মাঠে নামেন স্টুয়ানি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *