এসভি ডেস্ক: ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নামাজ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কোরআন শরীফে আল্লাহ পাক বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন।
ঈমান আনার পর গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যপালনীয় ইবাদাত হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত নামায। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর থেকে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর নির্ধারিত সময়ে এই নামায আদায় করা ফরয। কালামুল্লাহ শরিফে আল্লাহ তা’আলা জানিয়ে দিচ্ছেন, ‘নিশ্চয়ই নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় করা বিশ্বাসীদের জন্য ফরয করা হয়েছে।’ (সুরা নিসা, আয়াত ১০৩)
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কিয়ামাতের দিন বান্দার আমলগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম যে বিষয়ের হিসাব নেয়া হবে তা হচ্ছে নামাজ।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদেরকে কিসে জাহান্নামে নীত (নিক্ষেপ) করেছে? তারা বলবে- আমরা নামাজ পড়তাম না।’ (সুরা মুদাসসির : আয়াত ৪২-৪৩)।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কতো কঠিন ভাষায় বলেছেন, ‘আমাদের এবং অমুসলিমদের মাঝে (পার্থক্য সূচিত করে) নামাজের প্রতিশ্রুতি; যে নামাজ পরিত্যাগ করেছে, সে কাফির হয়েছে। অন্য হাদিসে তিনি বলেছেন, ‘মুমিন বান্দা এবং কাফিরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামাজ পরিত্যাগ করা।’
রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেন, ‘যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নামায ছেড়ে দেয় আল্লাহ তা’আলা তার থেকে নিজের জিম্মাদারী উঠিয়ে নেন’। (বুখারি-১৮, ইবনে মাজাহ-৪০৩৪, মুসনাদে আহমদ-২৭৩৬৪)
হাদীস শরিফে এসেছে, ইচ্ছাকৃতভাবে নামায ছেড়ে দেওয়া শিরকের পর সবচেয়ে বড় গুনাহ। এমনকি এটি হত্যা, লুণ্ঠন, ব্যভিচার, চুরি ও মদ্যপানের চেয়েও মারাত্মক গুনাহ। যার শাস্তি দুনিয়া ও আখেরাত উভয় স্থানেই ভোগ করতে হবে। (কিতাবুস সালাত লি-ইবনিল কায়য়ুম, পৃ. ১৬)
কেউ যদি অস্বীকারপূর্বক নামায ছেড়ে দেয় তার ঈমান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ইসলামের সমস্ত ফকিহ ঐকমত্য। তবে যে অস্বীকার করে না অথচ যে কোনো কারণেই গুরুত্বহীনভাবে নামায ছেড়ে দেয়, এ শ্রেণীর লোকেরা স্বীকৃত মতানুযায়ী যদিও কাফের হবে না তবে ফাসেক বলে গণ্য হবে। তাকে বহুকাল যাবৎ জাহান্নামের আযাব ভোগ করতে হবে।
আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, ‘অতএব দুর্ভোগ ঐ সমস্ত নামাজীদের জন্যে, যারা নিজেদের নামাজের ব্যাপারে উদাসীন।’ (সুরা মাউন, আয়াত ৪-৫)।