নিজস্ব প্রতিনধি: সতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনিস্টিউশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে ও লেখাপড়ার পরিবেশ ধ্বংস করতে মাঠে নেমেছে একটি কুচক্রীমহল। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে ওই প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন।
গতকাল সরেজমিনে যেয়ে জানা যায়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার প্রসারের জন্য ১৯১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনিস্টিউশন। সেই থেকে হাটিহাটি পা পা করে বিদ্যালয়টি এখন ভাল অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। ২০১৮ সালে ওই প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে আজিজুর রহমান যোগদানের পর শিক্ষার মান আরো বৃদ্ধি পায়। উন্নত হয় বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ। সেই ফলশ্রুতিতে ২০১৯ সালে দেশের মধ্যে বৃক্ষরোপনে ‘ক’ শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে প্রতিষ্ঠানটি। এ বছরের ৫ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বনমন্ত্রী সাহাবুদ্দীনের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান। সম্পতি ওই প্রতিষ্ঠানে আয়া, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীর পদ শূণ্য হয়। ওই শূন্য পদ পূরণ করতে গত ১৩ মে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে আয়া পদে ৪ জন ও নিরাপত্তাকর্মী পদে ৫ জন আবেদন করলেও একজনও আবেদন করেনি পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে। তবে ওই নিয়োগকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার একটি কুচক্রী মহল বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তিমূলক কথা রটাচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলেন, ৩ টি পদের মধ্যে ২ টি পদে ৯ জন আবেদন করেছেন। তবে বিবিন্ন মাধ্যমে আমরা শুনেছি ওই তিন পদে নাকি সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ৩৫ লক্ষ টাকা বানিজ্য করছেন। ৩৫ লক্ষ টাকা দিয়ে আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী পদে কেউ চাকুরী করতে আসবে এটা আমাদের বিশ্বাস হয়না। আমাদের এলাকার কিছু ব্যক্তি বিদ্যালয়টিকে ধ্বংসের পায়তারা চালাচ্ছেন। তারা বিভিন্ন ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের তারেক হোসেন বলেন, ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনিস্টিউশন নামক হাইস্কুলে কর্মচারি নিয়োগের বিষয়টি আমি জানিনা। অথচ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান আমাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।
একই উপজেলার বেনজির হোসেনের স্ত্রী রুমি আক্তার বলেন, চাকরির জন্য ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনিস্টিউশনে আমি আবেদন করিনি। অথচ আমার নামেও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
এবিষয়ে ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনিস্টিউশনের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান বলেন, বর্তমানে আমার স্কুলে ৪০০ এর উপরে শিক্ষার্থী আছে। আমি যোগদানের পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান আরো ভাল হয়েছে। স্কুলের সভাপতিও বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ে এসে সার্বিক পরিবেশ তদারকি করেন। সম্প্রতি ৩ টি পদে কর্মচারী নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তার মধ্যে ২টি পদের বিপরীতে ৯ জন পুুরুষ প্রাথী আবেদন করেছেন। কোন নারী প্রার্থী আবেদন করেননি। এ ছাড়া কর্মচারী নিয়োগ বোর্ডও হয়নি। ফলে নিয়োগ সংক্রান্ত ঘুষ গ্রহণের বিয়টি অবান্তর। বৃক্ষ রোপনে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনিস্টিউশন’র ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটি পক্ষ উঠেপড়ে লেগেছে।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি রওশন আলী খাঁ বলেন, আমরা নিয়োগ বানজ্য করছি এমন তথ্য ছড়িয়ে সমাজে আমাদেরকে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এলাকায় মাইকিং করে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনিস্টিউশনে কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড করার চিন্তা ভাবনা চলছে।