নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদরের খানপুর গ্রামের মৃত সোনাই মোড়লের ছেলে গিয়াসউদ্দীনের তান্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ওই এলাকার আপামোর জনসাধারণ।
আওয়ামীলীগের কোন পদপদবীতে তার কোন নাম না থাকলেও কখনও আওয়ামীলীগ নেতা আবার কখনও আওয়ামীলীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে জমিদখল, জমির দালালী, হুমকিধামকি, মামলা দিয়ে ফাঁসানোসহ এলাকায় একেরপর এক অপকর্ম করেই চলেছেন তিনি। তার হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার দুপুরে একটি জমি সংক্রান্ত বিরোধের ব্যাপারে জানতে খানপুর এলাকায় সাংবাদিকরা গেলে গিয়াসউদ্দীনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন স্থানীয় মেম্বরসর এলকাবাসী।
এলাকাবাসী বলেন, গিয়াসউদ্দীন এলাকার বিভিন্ন মানুষের জমি চুক্তিতে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে। কয়েক বছর কেটে গেলে গিয়াস সেই লিজের জমি ছাড়েও না আবার জমি লিজের টাকা পরিশোধও করেনা। টাকা চাইলে সে ওই জমির মালিককে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে। স্থানীয় জাহের আলীর জমি নিয়ে সম্প্রতি গিয়াস উদ্দীনের বিরোধ বাধে। জাহেরের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে সে দীর্ঘদিন মাছ চাষ করছিল। সম্প্রতি জাহের তার জমি ছেড়ে দিতে বললে গিয়াসউদ্দীন গোপনে সেই জমিতে বেড়ী দেন। এরপর তিনি জমি ছাড়বেন এই শর্তে বেড়ী দেওয়ার ১৮ হাজার টাকা গ্রহণ করে সেটি হজম করে আবারও ওই জমি দখল করতে মরিয়া হয়ে গেছে। এজন্য গিয়াস উদ্দীন থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছে। গিয়াসউদ্দীন ইটাগাছা এলাকায় কতিপয় মাস্তান টাইপের লোকের সাথে চলাচল করেন। আমরা কিছু বললেই সে তাদের দিয়ে আমাদের জামায়াত বানিয়ে হুমকি দেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে আমরা কথা বলতে সাহস পায়না।
আওয়ামীলীগের সাথে গিয়াসের কোন সম্পর্ক নেই জানিয়ে স্থানীয় মেম্বর খলিলুর রহমান বলেন, গিয়াস আমাদের এলাকার মানুষের জন্য একটি আতঙ্কেও নাম। তিনি এলাকায় ধান্দাবাজী, জমির দালালী, চিটারী, বাটপারীসহ একাধিক অপকর্মে লিপ্ত। তার কারণে আমার এলাকায় কেউ ভালভাবে জমি চাষাবাদ ও ঘেরে মাছ চাষ করতে পারেনা। যেখানে সুই না যায় সেখানে ও সুযোগ পেলে ফাল ঢুকিয়ে দেয়। কারও কোন জমিতে বিরোধ বাঁধলেই ও সেখানে যেয়ে একটা পক্ষের সাপোর্ট দিয়ে বিরোধ আরো বৃদ্ধি করে দেন। এছাড়া কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বললে তিনি তার বউকে দিয়ে হুমকি দেন। ফলে আত্মসম্মানের ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায়না।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে গিয়াস বলেন, আমি আওয়াশীলীগের কর্মী। তবে আওয়ামীলীগের কোন তালিকায় আমার নাম নেই। এছাড়া আমি কারো জমি দখল বা অন্য কোন সমাজ বিরোধী কাজ করিনা। জাহেরের জমিতে আমি ৩০ বছর ধরে মাছ চাষ করছি। হঠাৎ সে বলছে আর আমাকে জমি দেবেনা। এজন্য সম্প্রতি জাহেরের সাথে বিরোধ বেঁধেছে। তবে এই জি তে আমি মৌখিকভাবে মাছ চাষ করছি। আমার কোন কাগজপত্র নেই।