এসভি ডেস্ক: ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের চুক্তির কঠোর নিন্দা জানিয়েছে ইরান। চুক্তির বিষয়ে তেহরান বলেছে, আবুধাবি এই চুক্তি করে কৌশলগত নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছে এবং এর অবশ্যম্ভাবী ফল হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শত্রুপক্ষ আরও শক্তিশালী হবে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার সকালে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জাতিসহ বিশ্বের কোনো স্বাধীনচেতা জাতি অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে তার অপরাধের ভাগীদারদের এই সম্পর্ক স্থাপন প্রক্রিয়াকে কখনও ক্ষমা করবে না।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইতিহাস বলে দেবে, সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ফিলিস্তিনি জাতিসহ গোটা মুসলিম উম্মাহর পিঠে যে খঞ্জর বসিয়েছে, তার পরিণতিতে এ অঞ্চলের প্রতিরোধ অক্ষ আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হবে। সেই সঙ্গে ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তার তাবেদার আরব শাসকদের বিরুদ্ধে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে জনগণের ঐক্য ও সংহতি শক্তিশালী হবে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হওয়ার পর তেহরান শুক্রবার এ প্রতিক্রিয়া জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ও মুসলমানদের প্রথম কেবলা আল আকসা মসজিদ মুক্ত করার লক্ষ্যে গত সাত দশক ধরে যে প্রতিরোধ সংগ্রাম চলে এসেছে, তা আজ হোক কিংবা কাল ইসরায়েলসহ তার অপরাধের সব সহযোগীকে একসঙ্গে গ্রাস করবে।
ইরান বলছে- ‘মুসলমানদের প্রথম কেবলা বায়তুল মোকাদ্দাস একদিন মুক্ত হবেই; সেদিন ইসরায়েলের সঙ্গে তার সহযোগীরাও বানের পানির মতো ভেসে যাবে।’
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একটি অবৈধ ও মানবতাবিরোধী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে সংযুক্ত আরব আমিরাত চরম বিপজ্জনক কাজ করেছে। এ ঘটনার জের ধরে পারস্য উপসাগরে সম্ভাব্য যে কোনো পরিণতির জন্য আবুধাবিসহ এ অঞ্চলে তার সহযোগী সরকারগুলোকে দায়ী থাকতে হবে।’