অনলাইন ডেস্ক: দির্ঘদিন ধরে ফয়সাল ও রিক্তার মধ্যে প্রেম। রিক্তাকে বিয়ের আশ্বাস দেয় প্রেমিক ফয়সাল। কিন্ত রিক্তাকে বিয়ে না করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করছে ফয়সাল এমন সংবাদ পেয়েই প্রেমিক ফয়সালের বাড়িতে অবস্থান নেয় প্রেমিকা রিক্তা। এদিকে প্রেমিকা রিক্তা বিয়ের দাবীতে বাড়িতে এসেছে এমন সংবাদ শুনেই বাড়ি থেকে সটকে পড়ে প্রেমিক ফয়সাল।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালি ইউনিয়নের সাতানি গ্রামে প্রেমিক ফয়সালের বাড়িতে গত মঙ্গলবার রাত আটটা থেকে আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত অবস্থান করে শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী রিক্তা।
অভিযুই প্রেমিক ফয়সাল হোসেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ি টাইটেল মাদ্রাসার ছাত্র। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সাতানি গ্রামের শাহাজান হুজুরের ছেলে।
প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থানকালে রিক্তা বলেন, ফয়সালের সাথে আমার ১০/১২ বছরের সম্পর্ক। প্রেমিক ফয়সাল আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিক বার দেখা করেরেছ। ফয়সাল নানা কথা বলে আমাকে ঘুরাতে থাকে। সম্প্রতি আমি জানতে পারি ফয়সালকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তার বাবা মা। তার বাবা মার সম্মতিতে ফয়সাল অন্য মেয়েকে বিয়ে করবে। উপায় না পেয়ে আমি মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে আমার দীর্ঘদিনের প্রেমিক ফয়সালের বাড়িতে আসি। বাড়িতে উঠার সাথে সাথে তার মা-বাবা আমাকে বাড়ি থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে আমি ফয়সালের বাড়ি থেকে কোথাও যাবোনা। ফয়সাল আমার সব শেষ করে দিয়েছে। এখন আমার মান সম্মান সব শেষ। হয় ফয়সাল আমাকে বিয়ে করবে আর না হয় আমি আত্মহত্যা করবো।
সাতক্ষীরা সদরের কুশখালি ইউনিয়নের মেম্বর আজিজার রহমান মাকা বলেন, ঘটনা জানার পর আমি ছেলের বাড়িতে আসি। ঘরের বারান্দায় বসেছিল মেয়েটি। বিয়ের দাবিতে সে এখানে এসেছে। প্রেমিক ফয়সাল তাকে বিয়ে করবে নতুবা সে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধায় এসে সারারাত সে ফয়সালের বাড়িতে ছিল। পরে মেয়ের পরিবারের সাথে কথা বলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে বুধবার সকালে মেয়েটি তার বাড়িতে রেখে আসা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত ) নজরুল ইসলাম বলেন মেয়েটির পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দিলে তদন্তক করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।