অনলাইন ডেস্ক: হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দুলাভাইয়ের দায়ের কোপে শালি গুরুতর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ৯টার দিকে উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের মাধবপাশার মীর আলীবাগে এই ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় শালি সীমা আক্তারকে (২২) হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ মেয়ের দুলাভাই আমিনুল ইসলামকে (৩৫) আটক করেছে।
আহত সীমা আক্তার জলসুখার মাধবপাশা মহল্লার মীর আলীবাগের আব্দুল সালেকের মেয়ে এবং আটককৃত আমিনুল ইসলাম একই গ্রামের রহমত মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে জলসুখার মীর আলীবাগের রহমত মিয়ার ছেলে আমিনুলের সঙ্গে একই গ্রামের সালেক মিয়ার বড় মেয়ের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রয়েছে চার সন্তান। কিন্তু গত কিছুদিন যাবত আমিনুল ইসলাম তার শালি সীমা আক্তারকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে তাতে অসম্মতি জানায়।
বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় আমিনুল তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে পুনরায় সীমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সীমা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এরই জের ধরে আমিনুল প্রথমে সীমার বসতঘরে নিজের সঙ্গে থাকা দা দিয়ে সীমাকে কুপিয়ে জখম করে। এরপর সীমাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির পেছনে নিয়ে পুনরায় কুপিয়ে হাত এবং পেট ক্ষত-বিক্ষত করে।
এসময় সীমার পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীরা আমিনুলকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ আমিনুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং আহত সীমাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল মুকিত জানান, আমিনুল ইসলাম তার শালিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে প্রত্যাখান করায় শালি সীমাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমিনুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।