Spread the love

অনলাইন ডেস্ক: নীলফামারীতে ‘জমি লিখে না দেওয়ায়’ কবরে শুয়ে বাবার লাশ দাফনে বাধা দিয়েছেন এক যুবক।

শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার চাপড়া সরমজামি ইউনিয়নের যাদুরহাট বাটুলটারি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

যুবক নওশাদ আলী ওই গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।

স্বজনরা জানান, ৬২ বছর বয়সি মজিবুর অসুস্থতার কারণে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার ভোরে তিনি হাসপাতালে মারা যান।

পারিবারিক কবরস্থানে তার জন্য কবর খোঁড়া হয়। কিন্তু জমি লিখে না দেওয়ায় কবরে শুয়ে বাবা লাশ দাফনে বাধা সৃষ্টি করেন নওশাদ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে নওশান কবর থেকে উঠে পালান। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অন্য জায়গায় কবর খুঁড়ে মজিবুর রহমানের দাফন কাজ সম্পন্ন করেন স্বজনরা।

স্থানীয়রা জানান, মজিবুর রহমানের দুই স্ত্রী। মৃত্যুর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে দুই শতাংশ ও ওই স্ত্রীর ছোট ছেলেকে পাঁচ শতাংশ জমি লিখে দেন মজিবুর রহমান।

অন্যদিকে, প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলে ওয়াজেদ আলী, খয়রাত আলী ও নওশাদ আলীকে তিন শতাংশ করে জমি দেন মজিবুর। কিন্তু ওই জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার আগেই শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান।

জমি রেজিস্ট্রি করে না দেওয়ায় বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন মেজো ছেলে নওশাদ।

এলাকাবাসী ও স্বজনরা অনেক চেষ্টা চালিয়েও তাকে ফেরাতে না পেরে পুলিশে খবর দেন।  

চাপড়া ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাহাবুল ইসলাম বলেন, “বাবাকে কবর দিতে বাধা দেওয়ার ঘটনাটি আসলেই দুঃখজনক। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। পরে থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশের হস্তক্ষেপে মৃত মজিবুরের দাফনকার্য সম্পন্ন হয়।”

নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক মো. তানভীরুল ইসলাম বলেন, “স্থানীয় লোকজন ও গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নওশাদ আলী কবর থেকে উঠে পালিয়ে যান।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *