নিজস্ব প্রতিনিধি: রাবেয়া খাতুনের স্বামী নেই। দুই সন্তানকে নিয়েই তার জীবন চলছে অনেকটা নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো। সেলাই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করবে বলে প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। তবে একটি সেলাই মেশিনের অভাবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছিলেন না। এজন্য একটি সেলাই মেশিনের আশায় দরখাস্ত নিয়ে এসেছিলেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসকের কাছে।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে অসহায় নারীর হাতে সেলাই মেশিন কেনার টাকা তুলে দিয়েছেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
সেলাই মেশিন পেয়ে রাবেয়া খাতুনে বলেন, আমার স্বামী দুই সন্তানকে রেখে অনেক আগেই চলে গেছেন। বর্তমানে ছেলে নূর হোসেন দশম শ্রেণিতে পড়ে এবং মেয়ে নুসরাতারা ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। দুই সন্তানের লেখাপড়াসহ আমাদের সংসার আমার ইনকামে চলে।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরা শহরের রূপায়ণ টেইলার্স থেকে কাজ শিখেছি। তবে সেলাই মেশিনের অভাবে কাজ করতে পারছিলাম না। এজন্য ডিসি স্যারের কাছে আবেদন নিয়ে এসেছিলাম তিনি আমাকে একটি সেলাই মেশিন কেনার জন্য টাকা দিয়েছেন। ডিসি স্যারের এই উপহারে আমার সংসারের সচ্ছলতা ফিরবে।
জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের উচিত অসহায় লোকজনের পাশে দাঁড়ানো। তাদের সামান্য সহায়তায় একটি পরিবারের দুঃখ-কষ্ট লাঘব হতে পারে। আজকের এ আয়োজন তারই প্রমাণ।