নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি: নং খুলনা- ৫৫০) ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন আগামী ২ এপ্রিল। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী গতকাল রোববার প্রতিক বরাদ্দের দিন থাকলেও কোন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়নি নির্বাচন কমিশন। গতকাল নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় (শ্রমিক ইউনিয়ন) এর অফিসে উপস্থিত ছিলেন না নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এড. শেখ সাইদুর রহমানসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ। ফলে প্রতিক বরাদ্দের দিন প্রতিক নিতে এসে প্রতিক না নিয়েই তথাকথিত কান্ডগানহীন ওই নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবী জানিয়ে ফিরে গেছেন অনেক প্রার্থী।
নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী নজরুল ইসলাম, ক্যাশিয়ার প্রার্থী হুমায়ুন কবীরসহ একাধিক প্রার্থী বলেন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এড. শেখ সাইদুর রহমান ও সদস্য সচিব এড. শাহেদুজ্জামান গত ১৭ মার্চ মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই এর দিন প্রতিক বরাদ্দের ব্যাপারে প্রার্থীদের নিজেদের মধ্যে সমঝোতার আহŸান জানান কিন্তুু প্রতিক বরাদ্দের ব্যাপারে কোন সমঝোতা হয়নি প্রার্থীদের। ফলে গতকাল রবিবার বিকাল ৪ টা থেকে ৫ টার মধ্যে প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দের কথা থাকলেও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কেও নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হননি। আমরা প্রতিক না নিয়েই চলে এসেছি। আসলেই ২ এপ্রিল নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে আমরা এখন ধোয়াশার মধ্যে আছি।
এদিকে প্রতিক বরাদ্দের আগেই নির্বাচন কমিশনের সমর্থনপুষ্ট অনেক প্রার্থী প্রতিক দিয়ে পোষ্টার ছাপিয়ে বিভিন্নভাবে প্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জাকির হোসেন টিটু। তিনি বলেন, প্রতিক বরাদ্দে আগেই পোষ্টার ছাপিয়ে পেষ্টারের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছে সহ-সভাপতি প্রার্থী শেখ সালাউদ্দিন। আমি গতকাল সকালে এ ব্যপারে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি এবল প্রার্থীতা বাতিলের দাবিতে অভিযোগ করেছি।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এড. শেখ সাইদুর রহমানের কাছে প্রতিক বরদ্দে নির্ধারিত সময়ের পর সন্ধ্যা পোনে আটটার দিকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখন অফিসে আছি প্রতিক বরাদ্দ হবে। তবে কখন প্রতিক বরাদ্দের সময় ছিলো এমন প্রশ্নের জবাবে নিতি বলেন, আমার মনে নেই, কাগজ দেখে বলতে হবে। কাগজ দেখে বলার অনুরোধ করলে তিনি বলেন বিকাল ৪ টা থেকে ৫ টা নির্ধারিত সময় ছিলো। যথা সময়ে প্রতিক বরাদ্দ হয়েছে। তবে প্রতিক বরাদ্দে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যানসহ কেউ নির্ধারিত স্থানে ছিলেন না তাহলে কিভাবে প্রতিক বরাদ্দ হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তোর না দিয়েই মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেদেন।
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/comsatkhira/public_html/wp-includes/functions.php on line 5664caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/comsatkhira/public_html/wp-includes/functions.php on line 5664
Leave a Reply