Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: অবৈধ ট্রাক্টর-ট্রলি হতে মাটি পড়ে সামান্য বৃষ্টিতে কাদায় পরিণত হয়েছে। যানবাহনতো দূরের কথা পাকা রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়েছে। ইটভাটার মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীরা জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা না করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য ওই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে যেয়ে দেখা গেছে, সকালে সামান্য বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা সদরের ভাদড়া টু কাথন্ডা সড়ক, বাঁশদহা টু রেউই বাজার সড়ক, সাতক্ষীরা টু মাধবকাটি সড়ক সহ যেসব এলাকায় ইটভাটা আছে ওইসব সড়কে ব্যাপক কাদার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে রাস্তার চলাচলকারী জনগণ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। ঘটেছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। এছাড়া ভ্যান, মটর সাইকেল, সিএনজি, চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ইটভাটার ট্রাক্টরে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বহন করা মাটি সড়কে পড়ে। বেশ কিছুদিন ধরে ধুলায় টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছিল। এখন সামান্য বৃষ্টি হওয়াতে পাকা রাস্তাটি কাঁদাময় হয়ে গেছে।

রাস্তায় প্রতিনিয়িত চলাচলকারী রাসেল হোসেন বলেন, ইটভাটার কাজে নিয়োজিত মাটিবাহী যানবাহন থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়া মাটি রোদের সময় ধুলা আর সামান্য বৃষ্টিতে কাদাময় হয়ে যায়। থাকে দেখে বুঝার উপায় থাকে না এটা পাকা রাস্তা। এতে বছর জুড়েই এই সড়কে চলাচল করতে পোহাতে হয় দুর্ভোগ।

এদিকে সকালে দূর্ঘটনার শিকার হয়ে আক্ষেপের সাথে সাতক্ষীরা থানার এসআই হাসানুজ্জামান বলেন, আজ সকালে আমি দূর্ঘটনার শিকার হয়েছি। ভাদড়া টু কাথন্ড সড়ক একেবারে চলাচরের অনুপযোগী হয়ে গেছে।

কুশখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল বলেন, এই সমস্যা নিয়ে অনেক দিন ধওে ভাদড়া টু কাথন্ডা সড়কে চলাচল করছি। প্রায়ই এ সড়কে দূর্ঘটনা ঘটে। যার মুল কারণই হলো ইট ভাটা। এদের কারণে পাকা রাস্তা হয়ে পড়েছে কাচা রাস্তায়। অবৈধ তিনটি ভাটায় মাটি বহনের কারণে আমার ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি সড়ক জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। সকালে সামান্য বৃষ্টিতেই অনেকেই দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। রাস্তায় মোবাইল কোর্ট চলছে।

By S V

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *