Spread the love

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলায় নব প্রতিষ্ঠিত মৌলভী আব্দুল লতিফ কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্বল্প সময়ের অগ্রযাত্রা প্রশংসিত হচ্ছে। অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে অদূর ভবিষ্যতে কলেজটি প্রত্যান্ত এলাকার মানুষের কল্যাণে নিবেদিত হয়ে উঠতে সক্ষম হবে।

খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুর গ্রামে ২০১৭ সালে কলেজটি স্থাপিত হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের পিতা মরহুম মৌলভী আব্দুল লতিফ সাহেবের নামানুসারে কলেজের নামকরণ করা হয়েছে মৌলভী আব্দুল লতিফ কলেজ। শুরুতে কলেজের নামে ১০০ শতক জমি রেজিষ্ট্রেশন করা হয়।

পরবর্তীতে আরও সাড়ে ৩ বিঘা জমি দেওয়া হয়েছে। জমির উপর অফিস কক্ষসহ ৭টি ক্লাস রুম বিশিষ্ট সিমেন্টসিড বিশিষ্ট কলেজ ঘর নির্মান করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজকে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়।

এরই ফলশ্রুতিতে ২৫/০৯/২০১৮ তাং কলেজ স্থাপনের অনুমতি প্রদান করা হয়। পাঠদানের অনুমতি মেলে ২৫/০৪/১৯ তাং। ক্লাশ শুরু করা হয় ০১/০৭/১৯ তাং। ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয় ১৬৮ জন। যা ইটিসি পেয়ে ২০০ জন হতে পারে। বর্তমানে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ইইডি সাতক্ষীরা কলেজ ক্যাম্পাসে ৪ তলা বিশিষ্ট ভবনের ১ম তলার একাডেমীক ভবন নির্মান কাজ শুরু করেছেন। রাজস্য বাজেটের আ্ওতায় প্রকল্প ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে ৮০ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। কলেজে যাতয়াতের সংযোগ সড়ক হিসাবে বিবেচিত গদাইপুর মেইন সড়ক হতে ঘুঘুমারী স্কুল পর্যন্ত সড়ক পাকাকরণ কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। কলেজ থেকে পার্শ্ববর্তী ৩টি কলেজের দূরত্ব ১২ থেকে ১৪ কিঃমিঃ। ইতি মধ্যে কলেজে বিভিন্ন স্কুল থেকে ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকদের সাথে আলোচনা ও গোল টেবিল বৈঠক হচ্ছে। কলেজ পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক পরিচালিত কলেজটির অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্বে আছেন শাহানারা বেগম।

পাঠদানের অনুমতির ৫ মাসের মধ্যে এবং ক্লাস পরিচালনার ৩ মাসের মধ্যে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রাপ্য সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী কঠোর ও সুষ্ঠু পাঠদানের মাধ্যমে কলেজকে সুন্দর পরিবেশের মধ্যে সংগঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। কলেজের জমি বৃদ্ধি করা, ক্লাস রুমকে স্বল্প পরিসরে হলেও সুসজ্জিত করা, নিয়মিত পাঠ দান, সুশৃংখল পরিবেশ বজায় রাখা, শিক্ষ মন্ত্রণালয় তথা সরকারের সময়ে সময়ে নির্দেশনা বাস্তবায়নে সফলতা আনায়ন করা হয়েছে। নতুন প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান এতদ্রুত এভাবে সফলতার দিকে এগিয়ে নেওয়া সত্যি প্রশংসা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। কলেজের নাম যার নামে নিবন্ধিত হয়েছ, সেই সুন্দর চরিত্রের, দুর্নীতিমুক্ত মহৎ ব্যক্তিটির সুনাম যেন অব্যাহত রাখা যায় সেদিনে সতর্ক দৃষ্টি রেখে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য কলেজের অগ্রগতি ও সুখ্যাতি এলাকার মানুষকে আশান্বিত করে তুলেছে। তারা কলেজের সনসন অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *