আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা এলাকায় ব্লুগোল্ড পয়ঃ নিস্কাশন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩টি কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব কালভার্ট কৃষকদের জন্যে মরণ ফাঁদে পরিণত হবে কিনা তা নিয়ে আশংকাগ্রস্ত হয়ে আছেন অনেকেই। আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের একটি অংশ লোনা পানির মৎস্য চাষের কাজে ব্যবহৃত।
অন্য অংশ মিষ্টি পানির ধান, সবজী, মাছসহ বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ব্লুগোল্ড বুধহাটা এলাকার পানি নিস্কাশনের পাশাপাশি পার্শ্ববতী ফিংড়ী ইউনিয়নের কিছু এলাকার পানি নিস্কাশনের লক্ষ্যেখাল খনন ও কালভার্ট নির্মাণের কাজ করছে। এই অংশ হিসাবে বুধহাটা ইউনিয়নের দক্ষিণাংশের লোনা পানির মৎস্য ঘেরের সাথে উত্তোরাঞ্চলের মিষ্টি পানির চাষাবাদের এলাকাকে পৃথক করে রাখা মেইন রোড হতে চিলেডাঙ্গা-পাইথালী গামী সড়কের মাঝ বরাবর সড়ক কেটে কালভার্ট নির্মান করা হচ্ছে।
এছাড়া বুধহাটা শোভনালী সড়ক কেটে একটি এবং বেউলা সাইক্লোন শেল্টারের কাছে আরেকটি কালভার্ট নির্মান করা হচ্ছে। ফলে চিলেডঙ্গা সড়কের দক্ষিণ পাশের লোনা পানি এবং বেউলার পশ্চিম পার্শের বাকড়ীর বিলের লোনা পানি এই কালভার্ট হয়ে মিষ্টি পানির এলাকায় ঢুকে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করবে।
ফলে মিষ্টি পানির এলাকা লবণাক্ততায় পর্যবসিত হবে এবং গাছগাছালি, পশু সম্পদ, ধান চাষসহ সামাজিক জীবযাত্রায় চরম বিপত্তি নেমে আসতে পারে। ব্লুগোল্ড যখন কাজ শুরু করেছিল, তখন কালভার্ট গুলোকে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট কালভার্ট হিসাবে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল।
যা ছিল এলাকার জন্য উপযোগি। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে সেটি পরিবর্তন করে সাধারণ কালভার্ট হিসাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত চরম ক্ষতিকর হয়ে দেখা দিয়েছে। কাজ শুরুর সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আ ব ম মোছাদ্দেক বাধা প্রদান করেছিলেন। লবণাক্ত পানিতে এলাকার ক্ষতির আশংকায় তার প্রতিবাদের মুখে কালভার্ট নির্মান বন্ধ ছিল।
কিন্তু পরবর্তীতে আবার শুরু করা হয়েছে। এদিকে এলজিইডির রাস্তায় তাদের অনুমতি না নিয়ে রাস্তা কেটে কালভার্ট নির্মানের কাজ কিভাবে শুরু হলো এনিয়ে জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আক্তার হোসেন জানান, তাদের অজ্ঞাতে ও বিনা অনুমতিতে সড়ক কেটে কালভার্ট নির্মানের কাজ করা হচ্ছে। এব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আ ব ম মোছাদ্দেক বলেন, কালভার্টগুলো এলাকার মিষ্টি পানি সমৃদ্ধ চাষাবাদ ও জরজীবনকে হুমকীগ্রস্থ করবে। ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করবে। লোনা পানি প্রবেশের কারণে চরম বিপত্তির সৃষ্টি হবে।
তিনি প্রতিবাদ জানালে মিথ্যাচার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে কালভার্টের মুখে পাট ব্যবহারের ব্যবস্থা করে পানি চাষাবাদের সময় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হবে বলেছিল, কিন্তু সেটি করা হচ্ছেনা। যে পরিকল্পনার কথা তারা বলছে সেটিও কাজে আসবেনা বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন। ব্লুগোল্ডের কালভার্ট নির্মাণের সাথে জড়িত সাব কন্টাক্টর ঘটনাস্থানে গেলে বলেন, পাট ব্যবহারের ন্যুনতম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। সিডিউলের বাইরে কিছু করার ক্ষমতা তাদের নেই।
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/comsatkhira/public_html/wp-includes/functions.php on line 5608caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/comsatkhira/public_html/wp-includes/functions.php on line 5608