এসভি ডেস্ক: নিরাপদে ঘুরতে যাওয়া যেতে পারে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের যে ১০টি জায়গায়, সেই তালিকায় রয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি জায়গার নাম। অথচ, আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন ‘ফোর্বস’-এর তালিকায় সেই জায়গাগুলিকে পাকিস্তানের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অবশ্য এখনও পর্যন্ত ভারতের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ওই তালিকায় ভারতের কোনও এলাকাকেই তেমন নিরাপদ বলে মনে করা হয়নি। তাই ভারতের নাম নেই ফোর্বসের সেই সেরা দশে।
আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন ‘ফোর্বস’-এ প্রকাশিত ওই তালিকার নাম- ‘দ্য টেন কুলেস্ট প্লেসেস টু গো ইন ২০১৯’। ফোর্বসের ওই তালিকা জানিয়েছে, পর্যটনের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ ১০টি জায়গার তালিকায় সবার আগে রয়েছে পর্তুগালের অ্যাজোর্স দ্বীপপুঞ্জ। ফোর্বস-এর মতে, অতলান্তিক মহাসাগরের মধ্যবর্তী ওই দ্বীপপুঞ্জে যাওয়া-আসাটা খুবই সহজ। নিউইয়র্ক থেকে সরাসরি যাওয়া যায় বিমানে। ৫ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে না। দেখার মতো আছেও অনেক কিছু। আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ, প্রাকৃতিক উষ্ণ প্রস্রবণ, কালো রঙের বালির সমুদ্রসৈকত। সেখানে পাহাড়ে চড়া, স্কুবা ডাইভিং, তিমিদর্শনও করা যায়।
তালিকায় পাকিস্তানের নাম রয়েছে ৮ নম্বরে। ফোর্বস জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব পাকিস্তানের হান্ঝা, শিগার ও খাপলু উপত্যকাগুলি নিরাপদে পর্যটনের জন্য একেবারে আদর্শ জায়গা। কারাকোরাম হাইওয়ে ধরে যেতে হয় ওই সব উপত্যকায়। গোটা হাইওয়েটাই খুব নিরাপদ। প্রাকৃতিক দৃশ্যের নিরিখেও অতুলনীয়। ঝুলন্ত সেতুর তলা দিয়ে বয়ে যাচ্ছে সেখানে বরফ গলা জলের বহু নদী। রয়েছে প্রায় বরফে মোড়া আত্তাবাদ হ্রদ ও রাকিপোশির মতো এলাকা।
যে এলাকাগুলিকে পাকিস্তানের বলে উল্লেখ করেছে ফোর্বস, সেই সবক’টিই আদতে রয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। যে এলাকা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের বিরোধ এখনও মেটেনি।
ওই তালিকায় দুই আর তিন নম্বরে রয়েছে যথাক্রমে পূর্ব ভূটান, মেস্কিকোর ক্যাবো বা লস ক্যাবোস এলাকা। তার পরেই রয়েছে কলম্বিয়া, ইথিওপিয়া, মাদাগাস্কর ও মঙ্গোলিয়ার নাম। তালিকার শেষ দু’টি নাম রোয়ান্ডা ও তুরস্কের রিভিয়েরা এলাকা।
ভারতের কোনও এলাকার নামই তালিকায় না থাকায় নিন্দা-সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফোর্বস-এর ওই তালিকাকে দারুণ ভাবে ট্রোলড হতে হয়েছে ফেসবুক, টুইটারে।