এসভি ডেস্ক: ব্যাটে-বলে অধিনায়ক সাকিবের অনবদ্য নৈপুণ্যে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৬ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ২৬ বলে ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পর বল হাতেও ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরলো টাইগাররা।
বৃহ্স্পতিবার বিকেলে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান উইন্ডিজ অধিনায়ক কার্লোস ব্রাথওয়েট।
ব্যাট হাতে দলের শুভ সূচনা এনে দেন দুই অপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। দুজন মিলে ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। অ্যালেনের বলে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে আউট হওয়ার আগে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ১৫ রান।
এর পর সৌম্য সরকার ও লিটন মিলে ৬৮ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১১০ রানে ২২ বলে ৩৩ রান করে আউট হন সৌম্য। এর পর ১১৩ রানের মাথায় ৩৪ বলে ৬০ রান করা লিটন দাসকে ফেরান কটরেল। দলীয় ১২০ রানে মাত্র ১ রান করে থমাসের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন মুশফিকুর রহিম।
দলীয় ১২০ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশের তখনও ২০০ রান করা নিয়ে শঙ্কা ছিল। ঠিক তখনই ব্যাটকে তলোয়ারে পরিণত করেন সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ। দুজন মিলে গড়েন ৯১ রানের জুটি।
সাকিব ২৬ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৪২ এবং মাহমুদউল্লাহ ২১ বলে ৭টি চারে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। এর আগে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার মারে ৩৪ বলে ৬০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন অপেনার লিটন দাস।
ক্যারিবিয়ান বোলারদের মধ্যে কটরেল দুটি, থমাস ও অ্যালেন একটি করে উইকেট নেন।
২১২ রানের পাহাড় সমান রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৮ রানে এভিন লুইসকে (৬) লিটনের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান আবু হায়দার রনি। এরপর নিকোলাস পরানকে নিয়ে ৪১ রানের জুটি গড়েন শাই হোপ। সাকিবের বলে তামিমের হাতে তালুবন্দি হওয়ার আগে পরানের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। মিরাজের শিকার হওয়ার আগে ১৯ বলে ৩৬ রান করেন হোপ।
এর পর দলীয় ৯৮ রানে শিমরন হেটমায়ারকে (১৭ বলে ১৯) ফেরান সাকিব। দলীয় ১৫০ রানে ৩৪ বলে ৫০ রান করে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা রোভম্যান পাওয়েল কাটার মাস্টার মোস্তাফিজের শিকার হন। তখন বল হাতে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেন সাকিব। একে একে ড্যারেন ব্রাভো (২), কার্লোস ব্রাথওয়েট (৮) ও ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে (০) নিজের শিকারে পরিণত করেন অলরাউন্ডার সাকিব।
১৩৮ রানে ৭ উইকেট হারানোর পরও ব্যাট হাতে একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে আশার পথ দেখাচ্ছিলেন কিমো পল। ১৬ বলে ২৯ রান করা পল ফিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। পল আউট হওয়ার পর থমাসের (০) উইকেটে শেষ পেরেকটি ঠুঁকে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কটরেল ৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সাকিব ২১ রানে ৫ উইকেট, মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ২টি, রনি, মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ নেন ১টি করে উইকেট।
আগামী শনিবার (২২ ডিসেম্বর) সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুদল।