Spread the love

কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রেমের স্বীকৃতি না দেওয়ায় স্মৃতি খাতুন (১৩) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী নিজ শরীরে কিরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পুড়ে আহত হওয়ার ৯ দিন পর মারা গেছে। 

শনিবার ভোরে ঢাকার বার্ডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এদিকে এ ঘটনা জানার পর শনিবার সকাল ১০ টার দিকে প্রেমিক যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে আলামিন (১৫) যশোরের এক আত্মীয়ের বাসায় বিষপানে আত্মহত্যা করে। 

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বছর তিনেক আগে পারিবারিকভাবে স্মৃতি খাতুনের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়ে হয় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী রনি মোড়লের। বিয়ের পর থেকে রনি মোড়ল দেশে না ফিরলেও স্ত্রীকে নিয়মিত ভরনপোষন দিয়ে আসছিলেন। স্মৃতি খাতুন পিতার বাড়ি কলারোয়ার পাটুলিয়া থাকলেও পাশের গ্রাম ঝিকরগাছার মুকুন্দপুরের শ্বশুর বাড়িতেও যাতায়াত করতো। পার্শ্ববর্তী ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া হাইস্কুলে পড়াশুনো করতো সে। স্কুলে যাতায়াতের সূত্র ধরে একই ক্লাসের ছাত্র আল-আমিনের সাথে সখ্যতা থেকে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে স্মৃতি খাতুন। এরই এক পর্যায়ে পরকীয়া প্রেম অনেক দূর পৌছে যায়। বিষয়টি স্মৃতির পিতা-মাতা জানতে পারলে গত ৯নভেম্বর সকালে স্মৃতিকে তার নানা আব্দুল খালেকের বাড়ি কলারোয়ার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে রেখে আসেন। ওই দিন বিকেলে নানা বাড়ির ছাদে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে স্মৃতি খাতুন। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনায় নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ নভেম্বর শুক্রবার রাতে মৃত্যুবরণ করে স্মৃতি খাতুন। মৃত্যুর সংবাদ শুনে যশোরের রূপদিয়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে থাকা প্রেমিক আল-আমিন ওই রাতেই বিষ পান করে। তাক্ষনিক ভাবে আল-আমিনকে যশোর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭নভেম্বর শনিবার সকালে সে মারা যায়। এঘটনায় এলাকায় আলোচনা-সমালোচনায় ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার ঈশার নামাজের পর শিমুলিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে আল-আমিনের দাফন সম্পন্ন হয় বলে নিশ্চিত করেছেন শিমুলিয়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইসরাইল হোসেন।

এবিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মারুফ আহম্মদ শনিবার সকালে জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন।