এসভি ডেস্ক: মৌলভীবাজারে রাস্তায় এক ছেলেকে স্কুলের ড্রেস পড়া এক মেয়ে চড়-থাপ্পড় মারতে মারতে শার্টের কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছেলেটি তাকে মন্দ ভাষায় উত্ত্যক্ত করায় এবং তার ছবি তোলায় এমন প্রতিবাদ করে মেয়েটি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মৌলভীবাজার পৌর পার্কে এ ঘটনা ঘটে। উত্ত্যক্তের প্রতিবাদকারী মেয়েটি মৌলভীবাজার দি ফ্লাওয়ার্স কেজি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। সে সদর উপজেলার মাতারকাপন একালার মো. আকলিম মিয়ার মেয়ে।
অপরদিকে মেয়েটিকে উত্ত্যক্তকারী ছেলেটির নাম এবাদুর রহমান জিসান। তার বাড়ি সদর উপজেলার বারন্তি গ্রামে। সে শাহ মোস্তফা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
ভুক্তভোগী জানায়, টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে মায়ের সঙ্গে পৌর পার্কে বসে ফুচকা খাচ্ছিলাম। এ সময় জিসান নামের ওই ছেলেটি আমাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে। সেই সঙ্গে আমার ছবিও তোলে। আমার মা এর প্রতিবাদ করলে খারাপ আচরণ করে জিসান। তাই বখাটে জিসানকে শিক্ষা দিতে চড়-থাপ্পড় মারতে মারতে শার্টের কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে পার্কের বাইরে নিয়ে যাই।
এ সময় জিসানের সঙ্গে থাকা তার বন্ধুদের একজন ছাত্রলীগের এক কথিত নেতাকে ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে আসতে বলায় তার হাতের মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলি। সেই সঙ্গে তাকে চ্যালেঞ্জ করে বলি, তোর কোন বাপ আছে নিয়ে আয়, সে আমাকে কী করবে দেখি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দি ফ্লাওয়ার্স কেজি স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষক বলেন, ফেসবুকে ভিডিওটি দেখে ঘটনার পরদিন আমরা আমাদের ওই ছাত্রীকে স্কুলে ডেকেছিলাম। তখন সে জানায়, তাকে উত্ত্যক্ত করায় তার মা প্রতিবাদ করেছিল।
ঘটনার পর পুলিশ এসে ওই ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলামের সামনে দুই পক্ষের সমঝোতা হলে এ ধরণের কাজ ভবিষ্যতে আর করবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছেলেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জিসান জানায়, মেয়েটি আমার প্রেমিকা। তার সঙ্গে আমার এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রায় আট মাস আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সে।