এসভি ডেস্ক: গাঁজা খাওয়ার অনুমতি চেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন ওই বিভাগের এক ছাত্র। লিখিত আবেদনপত্রে সে উল্লেখ করেছে- গাঁজা খুব ভালো জিনিস, তাই তাকে গাঁজা খাওয়ার অনুমতি দেয়া হোক।
সোমবার বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কিশোর কুমার দাস এ আবেদন করে। তিনি ৪১তম ব্যাচের ছাত্র হলেও রিপিটার হয়ে ৪৩ ব্যাচের সঙ্গে ক্লাস করছেন। তিনি মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক ছাত্র। তবে বর্তমান তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন।
বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্র বিভাগে একবার গাঁজাসহ ধরা পড়েন। তখন বিভাগ থেকে তাকে সতর্ক করা হয়। তারপরে সে বিভাগের সভাপতির কাছে গাঁজা খাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি বলেন, কিশোর কুমার দাস আমার কাছে গাঁজা সেবনের অনুমতি চেয়ে লিখিত অনুমতি চেয়েছে। তবে আমি তার আবেদনটি প্রক্টরের বরাবর হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সিকাদার মো. জুলকারনাইন বলেন, ‘পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে পরীক্ষার হলে তাকে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় পাওয়া যায়। এমতাবস্থায় তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে আমাদেরকে বলেছে, ‘গাঁজা অনেক উপকারী। গাঁজা খেলে আমার পরীক্ষা ভালো হয়। তাছাড়া গাঁজা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। তাই আমাকে হয় গাঁজা খাওয়ার অনুমতি দিন, না হয় আমাকে শাস্তি দিন।’
প্রক্টর আরও বলেন, এরপর আমরা তাকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলে বুঝতে পারি। তাকে রিহাবে নেয়ার প্রস্তাব দিলে সে আমাদের ওপর আচমকা রেগে যায়। এজন্য প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী তার পুনর্বাসনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চিন্তা করছি।’
ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ
এদিকে সোমবার ওই বিভাগের সভাপতির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী কিশোর কুমার দাসের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ দিয়েছে। পরে অভিযোগপত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী উল্লেখ করে ‘কিশোর কুমার দাস রোববার দুপুরে বিভাগের ছাদে আমাকে যৌন হয়রানিমূলক অশালীন কথাবার্তা বলে। এই ঘটনায় প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এই অবস্থায় আমি বিভাগে যাতায়াতের জন্য অনিরাপদ বোধ করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপিড়নবিরোধী সেলের পরিচালক অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন, ওই ছাত্র মাদকাসক্ত। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন। আমরা তাকে পুলিশে দেয়ার চিন্তা করছি।