Spread the love

এসভি ডেস্ক: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী হাট বুধহাটা। কয়েকশত বছরের এই হাটটি সপ্তাহে দুইদিন শুক্রবার ও সোম বার বসে। তা ছাড়া প্রতিদিন বাজার সহ নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার হয়। এক সময় দুর দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার ক্রেতা বিক্রেতার মিলন মেলা ঘটতো এ হাটে। স্বস্থা দামে পাওয়া যেত মানুষের সকল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ কৃষকদের ফসলেরবীজ, সার, শাকসবজী, তরিতরকারি, চাল, ডাল, গবাদি পশু, পাখি মাছ ইত্যাদি সব কিছুই। প্রচুর কেনা বেচা হয় এই হাট বাজারে যার থেকে একটি বিপুল পরিমান রাজস্ব পায় সরকার।

আশাশুনি উপজেলার এগারটি ইউনিয়নের ৫০ ৬০ টি গ্রাম থেকে আট দশ হাজার ক্রেতা ও বিক্রেতার সমাগম ঘটতো এই হাটে। কিন্তু কালের বির্বতনে ও কতৃপক্ষের অবহেলায় বুধহাটা বাজারের জায়গা ভূমি খেকোদের দখলে চলে যাওয়ায় এই ঐতিহ্যবাহী বুধহাটা হাটবাজার টি বিলীনের পথে। উপজেলার বুধহাটা বাজারে ফুটপাত ভুমিখোরদের দৌরাত্বে কারণে বাজারের ভিতরের অধিকাংশ স্থানের ফুটপাতের জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বুধহাটা বাজারের খেয়াঘাট সড়কের দু’পাশের ফুটপাত গুলো ছোট-খাট ব্যবসায়ীরা দখল করে নিচ্ছেন।নির্দিষ্ট চাঁদনি গুলো দখল করে রাতারাতি দোকান পাট উঠে যাচ্ছে। মৎস্য বাজারে দুটি চাঁদনি থাকলেও একটি চাঁদনি দখল করে বসে আছে একজন মাংস বিক্রেতা।ঔ খানে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠছে ব্যক্তি গত পান সুপারির দোকান ও চায়ের দোকান।চাউল চাঁদনিতে বিক্রয় হচ্ছে আলু আর তরকারি চাঁদনি বিক্রয় হচ্ছে চা।তরকারি চাঁদনি একজন প্রভাবশালীনেতা চায়ের দোকান বসিয়েছেন ।রাতারাতি জায়গাটি গড়ে উঠবে দোকান পাট।কাপড়ে চাঁদনি দখল করে গড়ে উঠেছে চায়ের দোকান। দখলের রাজত্ব এমন পর্যায়ে গেছে যে দুর দুরন্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে প্রাকৃতিক কার্য সারবে এমন জায়গা খুজেঁ পাওয়া দুঃস্কর। মুক্তিযোদ্ধা চত্বর ও মুক্তিযোদ্ধা অফিস এর মুখ দখল করে গড়ে উঠেছে তরকারির দোকান। এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সড়কের চলাচলকারী পথচারী ও স্থানীয় দোকানীদের।

জানা গেছে, মোঃ তোফায়েল হোসেন, আরশাদ আলী, সাহজান আলী, বিল্লাল হোসেন মামুন গাজী সহ আরও অনেকে এ সড়কের ফুটপাত চাদনি অবৈধ ভাবে দখল করে বসে আছেন। স্থানীয় দোকানীরা তাদেরকে দোকান সরিয়ে নিতে অনুরোধ করলে তারা বলেন বুধহাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে এখানে বসে আছি। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন বুধহাটা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্তকর্তা মোঃ মোস্তফা মনিরুজ্জামান। জনগনের প্রশ্ন এদর খুটির জোর কোথায়।

স্থানীয়রা জানান, বাজারের মধ্যে কলা বা মিষ্টি বিক্রয়ের জন্য চাদনী থাকলেও তারা সেখানে না বসে ফুটপাত দখল করে জনগনের চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি করছে। স্থানীয় দোকানীরা জানান বিভিন্ন কোম্পানীর পন্যবাহী যানবাহন আসলে ফুটপাতগুলো দখল হওয়ার কারণে সড়কের উপরেই দাড়ীয়ে পাইকারী দোকানে পন্য সরবরাহ করতে হয় তাদের। এতে করে যানযটের সৃষ্টি হয় প্রতিনিয়ত। এমতাবস্থায় বাজারের ফুটপাত গুলো উন্মুক্ত করে অবৈধ দোকানীদের একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসার ব্যবস্থা করতে প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।