ফিরোজ জোয়ার্দ্দার: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সরকারের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিম্নমানের অবৈধ নিষিদ্ধ গাইড বই দিয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের কোচিং করানোর অপরাধে স্টুডেন্ট কোচিং সেন্টারকে অর্থ দন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
দুই শিক্ষক আর কোন দিন অবৈধ কোচিং সেন্টার পরিচালনা করবেন না বলে মৌখিক ভাবে দুই কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখের নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। সেই সাথে সাথে স্টুডেন্ট কোচিং সেন্টারে ছাত্র/ছাত্রীদের কোচিং করানোর সময় বিভিন্ন কোম্পানীর নিষিদ্ধ নিম্নমানের গাইড বই জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (৫ ই ফেব্রুয়ারী) বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরএম সেলিম শাহনেওয়াজের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের একটি টিম পৌর বাজারের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে অর্থ দন্ড ও অবৈধ কোচিং সেন্টার বন্দ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।
নিষিদ্ধ নিম্নমানের গাইড বই দিয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের অবৈধভাবে পড়ানোর অপরাধে কোল্ড স্টোর মোড়ে স্টুডেন্ট কোচিং সেন্টারের মালিক এম এ ছাত্তারকে ১হাজার টাকা অর্থ দন্ড দেয়া হয়। এমএ ছাত্তার উপজেলার বিক্রমপুর গ্রামের আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে। এছাড়া চাউল বাজারের দিজলা ফাউন্ডেশনের উপরে শিক্ষক আজাদ কোচিং সেন্টার ও কোল্ড স্টোরের পিছনে মনি শংকার কোচিং সেন্টারের মালিক মনি শংকার এই দুই কোচিং সেন্টারকে অবৈধভাবে কোচিং বানিজ্য না করার জন্য কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ, কলারোয়া প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, নির্বাহী অফিসের বেঞ্চ সহকারী এম এ মান্নান প্রমুখ।
তাছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান অব্যাহত থাকবে আর যদি কেহ নির্দেশ অমান্য করে তাহলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান।