এসভি ডেস্ক: ‘পোলিও সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যামে দ্রুত বিশ্বকে পোলিও মুক্ত করা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব পোলিও দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে রোটারি ক্লাব অব সাতক্ষীরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চেয়ারপারসন রোটারিয়ান ডা. সুশান্ত কুমার ঘোষ বলেন, ‘পোলিও একটি ভাইরাস। যা দ্বারা পোলিওমাইলাইটিস নামক মারাত্মক সংক্রামক রোগ হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ১৯৯৫ সাল থেকে পোলিও মুক্ত হওয়ার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা শুরু করে এবং প্রতি বছর দেশে জাতীয় টিকা দিবস আয়োজনের মাধ্যমে শিশুদেরকে পোলিও টিকা খাওয়ানোর কার্যক্রম শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশে মোট ২১টি ঘওউ আয়োজন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় যাতে প্রায় ৯৮ কোটিরও বেশি ডোজ শিশু পোলিও টিকা খাওয়ানো হয়। অবশেষে এই ব্যাপক কর্মযজ্ঞের কল্যাণেই ২০১৪ সালে বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের অন্যান্য সকল দেশের সাথে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ পোলিও মুক্ত সনদ অর্জন করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ব পোলিও দিবসের প্রচলন করে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল। ১৯৫৫ সালে বিজ্ঞানী জোনাস এডওয়ার্ড সল্ক ও তার গবেষণাবল বিশ্বের প্রথম পোলিও টিকা আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে তিনি তৈরি করেন ইন্যাকটিভেটেড পোলিওভাইরাস টিকা। এই যুগান্তকারী সাফলাকে স্মরণীয় করে রাখতেই তার জন্মদিনটিকে বিশ্ব পোলিও দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়। বর্তমানে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ব্যতীত সারা বিশ্ব পোলিও মুক্ত অবস্থায় রয়েছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকার ব্যাপক বাস্তবায়নের মাধ্যমে।’
ডা. সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘রোটারি ক্লাব অব সাতক্ষীরা প্রতি বছর এই দিবসটি পালন করে থাকে। সকলে মিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থতার জন্য ইপিআই হতে জন্ম থেকে এক বছরের মধ্যে শিশুকে প্রদেয় সকল টিকা নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি গুটি বসন্তের মত পোলিওকে বিশ্ব থেকে বিতাড়িত করতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান মশিউর রহমান বাবু, মুস্তাফিজুর রহমান নাসিম, সৈয়দ হাসান মাহমুদ, আশরাফুল করিম ধনী, মাহমুদুল হক সাগর, বিশ্বনাথ ঘোষ, মাগফুর রহমান, ফারহা দিবা খান সাথী, নাসিমা খাতুন, জিএম আব্দুল কাদের ও মোহাম্মদ গোলাম রসুল রাসেল প্রমূখ।