নিজস্ব প্রতিনিধি: দাওয়াত করে বাড়িতে ডেকে বিষ খাইয়ে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার শাশুড়ী ও শালকের বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বাকসা বাগাডাঙ্গা গ্রামের প্রবাসী আজিজুল ইসলামের বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঘটনার পর তেকে অভিযুক্ত শাশুড়ী বিলকিস বেগম ও শালক মিকাইল হোসেন আতœগোপনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহত আব্দুস সামাদ আশিক (২৫) একই এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে।
নিহতের বাবা মোশারফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘চারমাস আগে আমার ছেলে পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রবাসী আজিজুল ইসলামের মেয়ে আছমা খাতুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করে। বিয়ের খবর জানাজানির পর তার শাশুড়ী ও শালক বিয়ে মেনে না নিয়ে তাদের মেয়েকে বিবাহ বিচ্ছেদ করার জন্য চাপ দিতে থাকে। আমার বউমা কাউকে কিছু না বলে আমার বাড়িতে এসে সংসার শুরু করে। গত বৃহস্পতিবার আমার ছেলের শ্বশুর আজিজুল ইসলাম মালেশিয়া থেকে আমাকে মোবাইল ফোনে বলেন, আমার ছেলেকে তারা জামাই হিসেবে মেনে নিয়েছে। এরপর দাওয়াত করে আমার ছেলে ও বউমাকে তারা শশুর বাড়িতে নিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ছেলের শশুর বাড়ির আসপাশের লোকজন আমাকে খবর দেয় আমার ছেলে ও বৌমা বিষ খেয়েছে। তারা সাতক্ষীরা সিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে যেয়ে দেখি আমার ছেলে মারা গেছে ও বৌমা আছমা খাতুন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিষয়টি তাৎ্ক্ষণিক সাতক্ষীরা সদর থানাকে জানালে পুলিশ এসে ছেলের লাশ নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য ও একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। এঘটনার পর ছেলের শাশুড়ী ও শালক তাদের মেয়ে আসমা খাতুনকে নিয়ে আতœগোপন করেছে। আমার ছেলেকে তারা পরিকল্পিত ভাবে দাওয়াত করে নিয়ে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
নিহত আশিকের মা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলেকে তার শাশুড়ী বিলকিস বেগম ও শালক মিকাইল পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
এবিষয়ে সাতক্ষীরার আদালতে হত্যা মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান নিহত আশিকের বাবা মোশারফ হোসেন।