Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ও পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা সংকট নিরসনে ১০ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন নাগরিক নেতারা।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) আয়োজিত ‘সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যা ও সমাধানে করণীয়’ শীর্ষক এক সংলাপে নাগরিক নেতৃবৃন্দ এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন।

এগুলো হলো, বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীতে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক প্রবাহ ফেরানোর উদ্যোগ গ্রহণ, সাতক্ষীরা পৌরসভাকে পুরোপুরি ড্রেনেজ নেটওয়ার্কের আওতায় আনা, পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রাণসায়ের খালের দুই মুখ উন্মুক্ত করে স্বাভাবিক প্রবাহ ফেরানোর উদ্যোগ গ্রহণ, আন্তঃনদী সংযোগ বিশেষ করে ইছামতি, মরিচ্চাপ, খোলপেটুয়া, বেতনা, শালিখা ও কপোতাক্ষকে খননের আওতায় এনে চিরায়ত নিয়মে পানিপ্রবাহ সচলকরণ, নদীগুলোর সাথে সংযুক্ত খালগুলো পুনঃখনন করে পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি, অকেজো হয়ে পড়ে থাকা স্লুইসগেটগুলো সংস্কারকরণ, পৌর এলাকার মধ্যে মৎস্য ঘের নিষিদ্ধকরণ, নদীগুলো খননের সঙ্গে সঙ্গে সংলগ্ন বেড়িবাঁধগুলোও টেকসই করে বেড়িবাঁধ বাঙন রোধ, বেড়িবাঁধে বনায়নের উদ্যোগ গ্রহণ, নদী ও খালের প্রবাহ বিঘ্নিত হয় এমন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ না করা, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগেই পানি নিষ্কাশনের পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ এবং লস অ্যান্ড ড্যামেজ নিরুপণের মাধ্যমে জলবায়ু ফান্ডের অর্থ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে পুনর্বাসনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ। ধারণা পত্র পাঠ করেন বারসিকের সহকারী প্রোগ্রাম অফিসার গাজী মাহিদা মিজান।

সংলাপে পঠিত ধারণাপত্রে সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে জলবায়ু ও পরিবেশসম্মত উদ্যোগ না থাকায় ফলাফল আসছে না বলে উল্লেখ করা হয়।

সংলাপে বক্তব্য রাখেন, জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আলী নুর খান বাবুল, সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিলর মারুফ হোসেন, ১ সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নুরজাহান বেগম, অনিমা রানী মন্ডল, পৌরসভার কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর ইদ্রিস আলী, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, সাংবাদিক এম কামরুজ্জামান, সাংবাদিক গোলাম সারোয়ার, বাংলাভিশনের আসাদুজ্জামান আসাদ, এখন টিভির আহসানুর রহমান রাজীব, ডিবিসি নিউজের এম বেলাল হোসেন প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *