Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের করা মামলায় কারাগারে থাকা সাতক্ষীরার ৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে বিশেষ বিবেচনায় জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

শুক্রবার বিকেলে সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তৃতীয় আদালতের বিচারক মোঃ সালাহউদ্দিন আসামীপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানী শেষে এ জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়া শিক্ষার্থীরা শুক্রবার রাত ৮টায় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

জামিন পাওয়া ছয় শিক্ষার্থী হলেন, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের সাঈদুর রহমানের ছেলে মো. ফাহিম পারভেজ রণি, একই গ্রামের নূরুন্নবীর ছেলে মো. জাহিদ হোসেন, একই উপজেলার দেবীশহর গ্রামের আফছার আলীর ছেলে আসাদুল্লাহ আকাশ, সদর উপজেলার লাবসা গ্রামের কাজী কামরুল হাসানের ছেলে কাজী সাকিব হাসান, শহরের ইটাগাছার রফিকুল ইসলামের চেলে তাসিন ফারহান নিলয় ও পলাশপোল মধুমোল্লারডাঙির শেখ সাইফুল ইসলামের ছেলে শেখ নাফিজুল ইসলাম।

সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান জানান, গত ১৭ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সদর থানার সামনে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সদর থানার উপপরিদর্শক ব্রজকিশোর পাল বাদি হয়ে ১৮ জুলাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের মধ্যে ১৩জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৯ জুলাই প্রত্যেককে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। পরদিন ছয়জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ সাতজনকে কারাগার থেকে থানা হেফাজতে আনা হয়। গত পহেলা আগষ্ট তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি আরো জানান, কারাগারে থাকা ছয়জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পক্ষে শুক্রবার ছুটির দিনে দায়িত্বে থাকা সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম-৩য় আদালতের বিচারক মোঃ সালাহউদ্দিনের কাছে বিশেষ বিবেচনায় জামিন আবেদন করেন অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. হাসিবসহ কয়েকজন আইনজীবী। এ সময় তিনি (মেহেদী হাসান) রাষ্ট্রপক্ষে শুনানীতে অংশ নেন। উভয়পক্ষের শুনানী শেষে বিচারক তাদেরকে পরীক্ষা দেওয়ার সুবিধার্থে এ জামিন মঞ্জুর করেন। সন্ধ্যার পর জামিন পাওয়া শিক্ষার্থীদের জামিননামা সাতক্ষীরা কারাফটকে পৌঁছায়। জামিননামা যাঁচাই বাছাই শেষে ওই শিক্ষার্থীদের রাত ৮টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। তারা সবাই বাড়িতে ফিরেছেন।

সাতক্ষীরা জজ কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২) জানান, বিশেষ বিবেচনায় ছয় এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন হওয়ায় তিনি, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা খুশী।

জামিন পাওয়ার পর বাড়িতে এসেই পলাশপোল মধুমোল্লারডাঙির নাফিজুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, এখন কোন কথা নয়। এই মুহুর্ত থেকে আগামি সময়টুকু পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে চান। জামিন পাওয়ায় তিনি আদালতের উপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *