{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}
Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সাবেক ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কাম অফিস সহকারী খলিলুর রহমানকে আট মাস আগে বদলী করা হয়েছে কালিগঞ্জ উপজেলায়। তবে তিনি বদলী হলেও এখনও ছাড়েননি শ্যামনগরের সরকারি কোয়ার্টার। আট মাস ধরেই তিনি পরিবার নিয়ে শ্যামনগরের সরকারী কোয়ার্টারে থাকেন এবং সেখান থেকেই তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন তার গড়ে তোলা দুর্নীতির সিন্ডিকেট।

জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে সরকারি জরিপের তথ্য জমা, বই বিতরণ, নির্বাচনের ডিউটি তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি, শিক্ষক প্রশিক্ষণের তালিকা পাঠোনো, নতুন এমপিওভুক্তির ফাইল পাঠানো, উচ্চতর স্কেলের ফাইল পাঠানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘুষ বাণিজ্যের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতেন খলিলুর রহমান। 

এসব ঘটনায় বারবার সংবাদের শিরোনাম হওয়ায় ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর কালিগঞ্জ সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে তাকে বদলি করে কর্তৃপক্ষ। সেখানে যোগদান করলেও তিনি পূর্বের কর্মস্থলের কোয়ার্টার না ছেড়ে স্বপরিবারে বসবাস করছেন। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ করছেন দুর্নীতির সিন্ডিকেট।

কোয়ার্টার না ছাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে খলিলুর রহমান জানান, আমি ভাড়া দিয়ে থাকি। আমার মেয়েটা পরীক্ষা দেবে। তাই আমি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে থাকতেছি। যদি কর্তৃপক্ষ বলে তাহলে আমি চলে যাব।

শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ বলেন, নিয়মবহির্ভুতভাবে অন্য উপজেলায় চাকরি করে এখানের কোয়াটার কেউ ব্যবহার করতে পারেন না। যেহেতু আমি অবগত ছিলাম না। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, খলিলুর রহমান শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে বদলি হওয়ার পর থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কার্যক্রমে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

তবে কয়েকজন শিক্ষক জানান, খলিলুর রহমান আবারো শ্যামনগরে আসার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। যদি তিনি আবারও শ্যামনগরে ফিরে আসে তবে শিক্ষকরা অতিষ্ঠ হয়ে যাবে এবং আবারও দূর্ণীতির আখড়ায় পরিণত হবে শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *