নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মরগাং সরকারী খাস খালটিতে আড়াআড়ি বাধ দিয়ে মৎস্য ঘের করায় পানির অভাবে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ বিঘা জমিতে রোপনকৃত বোরো ধান ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
সরেজমিনে মঙ্গলবার সকালে মরগাং এলাকায় গেলে রবিউল ইসলাম, আক্কাজ আলীসহ কয়েকজন বোরো চাষি জানান, মরগাং সরকারি খাস খালটি ফুলতলা কেন্দ্রীয় মাদ্রাসা হতে সোনার মোড় হয়ে পয়জার খালে পড়ে। যেটি চুনা নদীর সাথে প্রবাহমান। ওইখালে ইসমাইলপুর গ্রামের আফছার আলী গাজী ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুন এর নামে শ্রেণী পরিবর্তন করে এক একর ৫০ শতক জমি বন্দোবস্ত দলিল মূলে মালিক হন। ওইজমি হস্তান্তর সম্পূর্ণ অবৈধ থাকা সত্বেও একই গ্রামের আম্মাদ কয়ালের ছেলে হাফিজুর রহমানকে লীজে ডিড প্রদান করায় তিনি খালটির আড়াআড়ি বাঁধ নির্মাণ করে মৎস্য ঘের পরিচালনা করছেন। ওই খালের দুই পাশে ৮০ থেকে ১০০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। হাফিজুর ঘের থেকে বোরো ধানে পানি না দেওয়ায় ধান খেত গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে।
তারা আরো জানান, বর্ষার মৌসুমে খাগড়াদানা, মাজাট, ইসমাইলপুর ও হায়বাদপুর গ্রামের খাল দিয়ে পানি সরবরাহ না হওয়ায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
ধান চাষি আতাউর জানান, ২০২৩ সালে প্রতি বিঘাতে ৩ হাজার করে টাকা নিয়েছে হাফিজুর পানি দেওয়ার কথা বলে।
আঃ রউফ জানান, ধানে পানি দেওয়ার নাম করে ৩০ হাজার টাকা নিয়েও পানি দেয় নাই। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আজিবার হোসেন জানান, এই খালটির উপর চারটি এলজিইডি কালভার্ট রয়েছে। খালটি থেকে এলাকার শত শত ধানচাষী তাদের বোরো ধানে পানি দিতে প্রতিবন্ধকতা করছে ঘের মালিক হাফিজুর। এতে ধানচাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছে। এটা কোনভাবে মেনে নেওয়া যায়না।
এ ঘটনায় বোরো চাষীরা সরজমিনে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসাদুজ্জামান এর নিকট গত সোমবার একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।