সোমবার সকাল থেকে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের আরোপিত বিধি-নিষেধ জনগনকে মানাতে পুলিশের ভুমিকা ছিল প্রশংসনীয়। পুলিশের কঠোর অবস্থানের ফলে নির্ধারিত সময়ের পর উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দোকানপাটের বেশিরভাগই বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল ব্যবসায়ীরা। সড়ক গুলোতেও পুলিশের চেকপোস্টের কারনে ভেস্তে যায়
অপ্রয়োজনীয় যানবাহন ও মানুষের চলাচল। পারুলিয়া, কুলিয়া, গাজীরহাট, সখিপুর সহ গুরুত্বপূর্ন স্থান গুলোতে প্রধান সড়কের উপর ব্যারিকেড দিয়ে অযাচিত যানবহন ও মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রনের আপ্রান চেষ্টা চালাতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের। তবে কিছু কিছু স্থানে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরাও পুলিশের নজর এড়িয়ে বারবার দোকান খুলেছেন এবং পুলিশের বাঁধায় আবার বন্ধও করেছেন সেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ যেন পুলিশের সাথে ব্যবসায়ীদের ‘চোর-পুলিশ খেলা’।
দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, করোনা সংক্রমন এড়াতে জেলাব্যাপী চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের সর্বত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। যারা আইন অমান্য করে বাইরে বের হয়েছিল তাদেরকে ঘরে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ১জন সহ এপর্যন্ত দেবহাটায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৪ জন।
যাদের মধ্যে পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামসহ মোট ১৫জন বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।