মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন
আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য উদ্যোক্তা আসমাউল হুসনা ওরফে আসমা খাতুনের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ফুলতলা বাজারে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্য কেন্দ্রে সেবা নিতে এসে চরম হয়রানির শিকার এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতিয়ার রহমান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক উপজেলা দক্ষিণ শাখার সভাপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক নূর ই আলম সিদ্দিকী, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কারিমুজামান, ভিকটিম আব্দুস সালাম, ন্যাচার কনজারভেশন ভলেন্টিয়ার টিম পরিচালক দৃষ্টিপাত সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ, ভিকটিম শ্রী বেদানা প্রামাণিক, ভুক্তভোগী আব্দুর রাশিদ সানা, শহিদুল্লাহ শেখ, প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পরিষদের তথ্য উদ্যোক্তা আসমা খাতুনের কাছে জন্ম নিবন্ধনের জন্য গেলে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে নাম বা ঠিকানায় ভূল করেন। এরপর ভূল সংশোধনে গেলে বারবার তাকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। বিভিন্ন অনলাইন সার্ভিসে সরকারি ধার্যকৃত ফিসের অতিরিক্ত টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত তিনি কাজ করে দেন না। পরিষদের চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে সে তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের নামে একাধিক কার্ড করে সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছে। মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ায় ৫ আগস্টের আগে সে এসব কাজ কারও তোয়াক্কা না করে গেছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে নাশকতা মামলার আসামি হয়ে জেল হাজতে থাকতে হয়েছে।
গোকুলনগর গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী মোছাঃ নারগিস পারভীনের স্বামী আব্দুস সালাম বলেন আমার স্ত্রীর ১৯৮৫৮৭১০৪৭৭৭৮৮৭৭৯-০২ নং প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা না পেয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গেলে জানতে পারি ২০২১-২০২২ অর্থ বছর থেকে ০১৯১০ ২৬১৯৬৬ নং মোবাইল ফোনের বিকাশ নাম্বার থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে। নাম্বারটি কার তদন্ত করে দেখা গেছে সেটা উদ্যোক্তা আসমাউল হুসনার মা মোছাঃ আকলিমা খাতুনের ব্যবহারিত মোবাইলের নাম্বার। আমি থানায় অভিযোগ করতে গেলে চেয়ারম্যান আমাকে বলেন, অভিযোগ করতে হবে না। টাকা পাওয়া গেছে বাড়ি এসো। কিন্তু আমি অদ্যাবধি সে টাকা পাইনি।
এরকম শতাধিক নারী-পুরুষের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। আসমার বাবা কুরবান মোড়ল একজন হতদরিদ্র ডিম বিক্রেতা ছিলেন। কিন্তু আসমা এভাবেই একচেটিয়া দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতাপনগরের তালতলা বাজারে কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে দুটি পজিশন ক্রয় করা সহ সাতক্ষীরা ও খুলনা শহরে জমি কিনেছেন। তার বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নিতে গেলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী তাকে সহযোগিতা করে থাকেন। সম্প্রতি ভিডব্লিউবি এর ৩৯৪ টি কার্ডে চাউল দিতে গিয়ে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত প্রায় ৬ লক্ষ টাকা তুলে আত্মসাত করা হয়েছে। অবিলম্বে এসব দুর্নীতি বন্ধ করে আসমাউল হুসনাকে পরিষদ থেকে বহিষ্কার করা না হলে শুধু আসমার বিরুদ্ধে নয় তাকে সহযোগিতাকারী চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।