মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন
হাফিজুল ইসলাম: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বড় খামার গ্রামে ভাতের সঙ্গে চেতনানাশক স্প্রে মিশিয়ে দেওয়ার ঘটনায় একই পরিবারের দুগ্ধপোষ্য ২ শিশুসহ ৬ জন অচেতন হয়ে পড়েছেন।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে এই ঘটনা ঘটায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বড় খামার গ্রামের বাসিন্দা মেহের আলী (৬৫), তার স্ত্রী মোমেনা খাতুন (৫০) ও দুই পুত্র আব্দুর রউফ (৪০) এবং জিয়ারুল (২৬), জান্নাতুল (৪), মিনারা (২০) দুপুরে খাওয়া দাওয়ার কিছুক্ষণ পর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরবর্তীতে ছয়জনই অজ্ঞান হয়ে গেলে প্রতিবেশীরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক আব্দুল খালেক পরামর্শে বাড়িতেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে তারা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
প্রতিবেশী নোয়াব আলী বলেন, “খাওয়ার কিছু পরই সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা গিয়ে দেখি সবাই অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পরে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
বি.ডি.এফ (ব্রহ্মরাজপুর, ধুলিহর ও ফিংড়ী) প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব শাহাদাৎ হোসেন বাবু,”ব্রহ্মরাজুপুর ইউনিয়নের বড়খামার গ্রামের ঘটে যাওয়া খাবারে চেতনানাশক মিশানোর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। আমরা প্রশাসনকে দ্রুত তদন্ত চালিয়ে দায়ীদের শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে, স্থানীয় জনগণকে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাই।”
তিনি আরও বলেন,পুলিশের পর্যাপ্ত টহল না থাকার কারণে চুরি, মাদক সন্ত্রাস ও অন্যান্য অপরাধ বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষ ঝুঁকির মুখে রয়েছেন। আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই, দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক এবং মাদক সন্ত্রাস রোধ করা হোক।”
ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই মনিরুজ্জামানকে গণমাধ্যম কর্মীরা একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সাতক্ষীরা থানার ওসি শামিনুল হক জানিয়েছেন, “এ বিষয়ে এখনো আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং প্রাথমিকভাবে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার প্রস্তুতি চলছে।