লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার মাদ্রাসার মূল কাগজলত্রাদি যা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক তাগিদকৃত শ্যামনগর অফিসে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতিকালে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১০টার দিকে উপজেলার ব্রহ্মশাসন গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন, ভুরুলিয়া গ্রামের মৃত, মোহাম্মাদ মল্লিকের ছেলে মাহতাব উদ্দীন, বল্রভপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ গাজী ও সোনামুপারী গ্রামের মৃত, আরশাদ গাজীর ছেলে আবু মুছাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জন আমার অফিস রুমে প্রবেশ করে। তারা আমাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুসি মারে এবং মাহতাব উদ্দীন আমাকে জাপটে ধরে আমার কাছে থাকা কাগজপত্র এবং অফিসের ভেতরে রক্ষিত প্রতিষ্ঠানের সমস্থ কাগজপত্র যা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কেন্দ্রিক প্রযোজ্য এবং আমার কাছে থাকা নগদ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা যা প্রতিষ্ঠানের নামে রেজিঃকৃত জমির মালিককে দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলাম তা কেড়ে নেয়। এসময় তারা প্রতিষ্ঠানের চেয়ার, টেবিল, সিলিং ফ্যান, আলমারি, প্রতিষ্ঠানের নামে সাইনবোর্ড ভাংচুর করে এবং আমার সহকারী শিক্ষকদের চাকুরী ছাড়ার হুমকি প্রদান পূর্বক ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
মুহাঃ হুসাইন আহমাদ অভিযোগ করে বলেন, তারা চলে যাওয়ার সময় মাদ্রাসার মূল ৩ টি রেজুলেশন খাতা। যাতে অনুমোদিত ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন, নিয়োগ সংক্রান্ত রেজুলেশন। সহকারী শিক্ষক মাহাতাব উদ্দীনের বরখাস্তের রেজুলেশন, শিক্ষক হাজিরা খাতা, মূল নবায়নের কপি, মাদ্রাসার জামির দলিল, মিউটিশন কপি, খাজনা দাখিলার কাগজপত্র, প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি নামের সীল ও প্যাড, মাদ্রাসার নামের একাউন্টের চেক বই (কৃষি ব্যাংক) এবং শিক্ষকদের নিয়োগ যোগদানকৃত সকল কাগজপত্রাদির মূল কপি নিয়ে যায়। এছাড়া আব্দুল্লাহ আল মামুন আমার কাছ থেকে ২টি স্বাক্ষরিত সাদা চেক (একটি সোনালী ব্যাংকের অন্যটি আল-আরাফা ব্যাংকের) জোরপূর্বক নিয়ে নেয়।
তিনি আরো বলেন, উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা গত ৭ আগষ্ট অত্র প্রতিষ্ঠানে একটি লিখিত শর্ত দিয়ে হুমকি প্রদান করে দুইদিন সময় বেধে দেয়। উক্ত সময়ের মধ্যে শর্তে বর্নিত জিনিষপত্র না দিলে আমাদের চাকুরীর স্বাদ মিটাবে বলে হুমকি প্রদান করে। এরই জের ধওে তারা ২৫ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে উপরোক্ত ঘটনা ঘটায়। এবিষয়ে শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আব্দুল্লাহ আল মামুন শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদল কমিটির পরিচয় দিয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের খুন জখমের হুমকি অব্যাহত রেখেছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উৎখাত করে দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
তিনি প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের রক্ষাসহ মূল কাগজপত্রাদি ফেরত ফেয়ে যাতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে পারেন তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।