সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানি জমে রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পানি নিষ্কাশনের কোনো সুব্যবস্থা না থাকায় পাশ্ববর্তী কাঁচা ঘরবাড়ি, ফলজ গাছ, কৃষিজমি, এমনকি কবরস্থান পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে স্কুল-মাদ্রাসাগামী ছাত্রছাত্রী ও পথচারীরা। ঝুঁকি নিয়েই বাইসাইকেল ও মোটরযান চলাচল করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আলমগীর মোল্যা, ফেরদাউস হোসেন, মিজানুর রহমান, হাতেম ও রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর ঈদগাহ, মসজিদ মাঠ, কবরস্থান ও বাড়ির আঙিনায় পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। লক্ষাধিক টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়, তবুও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায় না। স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের একাধিকবার জানানো হলেও স্থায়ী সমাধান হয়নি।
তারা জানান, একটি পাইপ স্থাপন করে বৃষ্টির পানি পাশের মাদার নদীতে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হলে সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব। এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও প্রিন্স রেজা জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
এলাকাবাসী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।