শনিবার, ১৪ Jun ২০২৫, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
মা/দক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় হা/ম/লা! প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন সাতক্ষীরায় জামায়াতের রুকন প্রার্থী শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত ব্রহ্মরাজপুরে ইমামদের ঈদ পূণর্মিলন ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা তালায় মানব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ঈদ অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব আ.লীগ নেতা শাহাবুদ্দিন আজমকে গোপালগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর ধুলিহর ব্রহ্মরাজপুর সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঈদ পুণর্মিলনী খালেদা জিয়ার জন্য ‘কালো মানিক’ নিয়ে ঢাকায় ভক্ত সাতক্ষীরার ৩৬ শহীদ পরিবারের মাঝে জামায়াতের উপহার বিতরণ ৩৫০জন ইমাম ও মুয়াজ্জিনের মাঝে ঈদ সামগ্রী তুলে দিলেন গোপালগঞ্জের ডিসি

গোপালগঞ্জে ট্রাক-মোটরসাইকেল সং’ঘ’র্ষে নি’হ’ত এক, আ’হ’ত এক

মোঃ শিহাব উদ্দিন, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমরারসুর মোড়ে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক সড়ক দুর্ঘটনা। শনিবার (১৮ মে ২০২৫) রাত আনুমানিক ১০টায় একটি ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে সেনা সদস্য মোঃ আব্দুর রহিম গুরুতর আহত হন এবং তার সঙ্গে থাকা বন্ধু সাকিম সরদার ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সৈনিক আব্দুর রহিম গত ১৭ মে দুই মাসের বাৎসরিক ছুটিতে বাড়িতে আসেন। পরদিন সন্ধ্যায়, অর্থাৎ ১৮ মে, তিনি বন্ধুসহ মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হন এবং গোপালগঞ্জ শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন। ডুমরারসুর মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাকের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

স্থানীয়রা দ্রুত আহত সৈনিক আব্দুর রহিমকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন এবং তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।

দুর্ঘটনায় নিহত সাকিম সরদার (পিতা: হান্নান সরদার) ও আহত সৈনিক আব্দুর রহিম (পিতা: মো: খায়রুল আলম)—দুজনেই সদর উপজেলার খানার পাড় গ্রামের বাসিন্দা। তারা দীর্ঘদিনের বন্ধু ছিলেন।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, দুর্ঘটনার সময় তাদের কারো মাথায় হেলমেট ছিল না, যা এমন প্রাণঘাতী পরিণতির অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাফিক সচেতনতার অভাব এবং হেলমেট না পরার প্রবণতা দেশের বহু তরুণ প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত।

পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং সংশ্লিষ্ট ট্রাকের খোঁজে মাঠে নেমেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই মোড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।

এ ধরনের দুর্ঘটনা আমাদের আবারও স্মরণ করিয়ে দেয়—সড়কে নিরাপত্তা মানেই জীবন বাঁচানো। হেলমেট ব্যবহার, গতি নিয়ন্ত্রণ এবং ট্রাফিক নিয়ম মানার বিকল্প নেই।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্টটি শেয়ার করুন

©All rights reserved© SatkhiraVision.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com