স্থানীয়রা বলেন, অজয় কুমার ঘোষ সরকারী কর্মচারী হয়েও ৫ আগস্টের আগে তিনি চলেছেন আ.লীগ দলীয় ক্যাডার হিসেবে। তালা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা ঘোষ সনৎ কুমারকে ভাই পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। কাজ করেছেন ঘোষ সনৎ এর ডান হাত হিসেবে। সেসময় অনেকেই তাকে সনৎ কুমারের ক্যাশিয়ার হিসেবেও জানতো।
৫ আগস্টের আগে যখন ফ্যাসিস্ট আ.লীগ সরকারকে হঠাতে ছাত্র-জনতা তীব্র আন্দোলন শুরু করে ঠিক তখনও অজয় কুমার ঘোষ সরকারী কর্মচারী হয়েও অংশ নিয়েছিলেন আ.লীগের বিভিন্ন মিছিল ও সমাবেশে। একজন সরকারী কর্মচারী হয়ে তিনি অধিকাংশ সময় অফিস না করে আ.লীগের দলীয় কর্মসূচী করে বেড়াতেন। আ.লীগ সরকার পতনের পর এখনও তিনি নিজেকে সনৎ কুমারের ভাই বলে পরিচয় দিচ্ছেন। তাছাড়া তালা উপজেলা সমবায় অফিসে তিনি এখনও তার আধিপত্য বজায় রেখেছেন।
এদিকে অজয় কুমার ঘোষ যে আ.লীগের সন্ত্রাস বিরোধী মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তার একটি ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, আ.লীগ ও তার অংগ সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা নানান স্লোগান দিয়ে তালা উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে যাচ্ছেন। অজয় কুমার ঘো কে মিছিলের মাঝখানে দেখা গেছে। তিনিও নানান স্লোগান দিয়ে মিছিলের সাথে সাথে হেটে যাচ্ছেন।
তালা উপজেলা সমবায় অফিসের সহকারী পরিদর্শক অজয় কুমার ঘোষ মিছিলে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য হিসেবে প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলাম এবং মিছিলে গিয়েছিলাম। সরকারী কর্মচারী হিসেবে তিনি আ.লীগের মিছিল ও সমাবেশে অংশ নিতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
তালা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারী চাকুরীবিধী অনুযায়ী কোন সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী রাজনৈতিক কোন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে পারেননা। অজয় কুমার ঘোষ ৫ আগস্টের আগে কোন রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন কিনা তা আমার জানা নেই। তবে তিনি যদি রাজনৈতিক কোন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে থাকেন তবে আমাদের অগোচরে করেছেন।