বৃহস্পতিবার, ১৭ Jul ২০২৫, ১২:৩২ অপরাহ্ন
নুরুল ইসলাম, খাজরা: আশাশুনির বড়দল ও খাজরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭/২নং পোল্ডারের আওতাভুক্ত কালকীর স্লুইজ গেটটির মুখে পলি জমে ও খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ তিন বছর এই দুই ইউনিয়নের প্রায় দশ হাজার বিঘা জমিতে একমাত্র ফসল আমন ধান কৃষকরা ফলাতে পারিনি। যার ফলে এলাকাবাসী,জনপ্রতিনিধি,কৃষক সমাজসহ সকলে বারংবার মানববন্ধন ও একাধীক জাতীয় আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ প্রচার করে। সকলের দাবির মুখে পানি উন্নয়ন বোর্ড নড়েচড়ে বসে। চলতি অর্থ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কালকীর গেটের দুই মুখসহ কালকীর খালের ১৫শ মিটার দৈর্ঘ্য খননের উদ্যোগ নেয়। সেই মোতাবেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আজ থেকে খাল খননের কাজ শুরু হয়েছে।
রবিবার(৪মে) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কালকীর গেটের নদীর পাশে ৩শ মিটার খাল খননের জন্য দুটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গেটের বাইরের ১২শ মিটার কাজও শুরু হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭/২ নং পোল্ডারের আওতাভুক্ত ১৫শ মিটার কালকীর খাল খননের জন্য প্রায় ৩০লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসকে শাহিনুর রহমান বাবুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায়। নদীর অংশে ৪২ফুট প্রশস্ত ও বাইরের অংশে ধারাবাহিক বজায় রেখে গড়ে ৭ফুট গভীরতায় এ খাল খনন করা হবে। বর্ষা মৌসুম আগত হওয়ায় মাত্র দুটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাজ করায় সময়মত খনন হবে কি? এমন প্রশ্নে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জানান ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
খাল খনন পরিদর্শনে আসা খাজরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মোঃ ইউনুছ আলী, যুবদলের সদস্য সচিব রাফসান জানি রাসেল,প্রফেসর হিরন্ময় মন্ডল,খাল ও নদী সুরক্ষা কমিটির মাহবুবার রহমান জানান,অত্র এলাকায় ২ বছর কোন ফসল কৃষকরা ঘরে তুলতে পারিনি। আমরা সকলে মিলে খাল খননের জন্য আপ্রান চেষ্টা করেছি। অবশেষে আমাদের কৃষকরা এবছর আমন ধান ফলাতে পারবে। আমাদের জোর দাবি যাতে খাল খনন বরাদ্দ অনুযায়ী সঠিকভাবে হয়। এছাড়া আরো ৫শ মিটার খাল খননের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার,পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।