শনিবার, ১৪ Jun ২০২৫, ০৭:১০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
মা/দক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় হা/ম/লা! প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন সাতক্ষীরায় জামায়াতের রুকন প্রার্থী শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত ব্রহ্মরাজপুরে ইমামদের ঈদ পূণর্মিলন ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা তালায় মানব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ঈদ অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব আ.লীগ নেতা শাহাবুদ্দিন আজমকে গোপালগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর ধুলিহর ব্রহ্মরাজপুর সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঈদ পুণর্মিলনী খালেদা জিয়ার জন্য ‘কালো মানিক’ নিয়ে ঢাকায় ভক্ত সাতক্ষীরার ৩৬ শহীদ পরিবারের মাঝে জামায়াতের উপহার বিতরণ ৩৫০জন ইমাম ও মুয়াজ্জিনের মাঝে ঈদ সামগ্রী তুলে দিলেন গোপালগঞ্জের ডিসি

শ্যামনগরে জাল দলিলের আস্তানা বিসমিল্লাহ সেরেস্তা! ইউএনও এবং থানায় অভিযোগ

এসএম মিজানুর রহমান, শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলার বিসমিল্লাহ শেরেস্তা জাল দলিলের আস্তানায় পরিনত হয়েছে। এ ঘটনায় সাম্প্রতি স্থানীয়, আঞ্চলিক একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় পেপার কাটিং সহ গত ১৭ মার্চ কাশিমাড়ী গ্রামের শফিকুল গাজীর স্ত্রী দলিল গ্রহিতা হতদরিদ্র নুরুন নাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন। নির্বাহী অফিসার বিষয়টির আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্যামনগর থানাকে নির্দেশ দেন। এমতাবস্থায় বিসমিল্লাহ সেরেস্তার স্বত্তাঅধিকারী এস এম মাহবুবুর রহমানসহ তার অধিনস্ত দলিল লেখক আমজাদ হোসেনের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তারা পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন।

জানা যায়, স্বামীর ও শিশু পুত্রের ইটভাটা শ্রমিকের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের অতি কষ্টের টাকা ও বাবার বাড়ীর শেষ সম্বল টুকু বিক্রি করে কাশিমাড়ী গ্রামের হতদরিদ্র নুরুন নাহার একই গ্রামের আরশাফ গাজীর ছেলে আব্দুল রাজ্জাক ওরফে (জাল রাজ্জাক) এর নিকট থেকে শ্যামনগর বিসমিল্লাহ সেরেস্থার দলিল লেখক এস এম মাহবুবুর রসিদ (লাইসেন্স নম্বর ৩৬/১৯৮৭) দলিল লেখক মোঃ আমজাদ হোসেন (লাইসেন্স নম্বর ৫২/৭৮) এর সহযোগিতা ও তৎকালীন স্বাব রেজিস্টার মইনুল হককে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে গত ১৪/৩/২০২৩ তারিখে ৩০ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়। যার দলিল নম্বর ১৩৪৯। জমি ক্রয় করতে নুরুন নাহার প্রথমে রাজ্জাককে ৪ লক্ষ টাকা প্রদান করে। এরপর রেজিস্ট্রি হওয়ার দিনে এস এম মাহবুবুর রশিদ, মোঃ আমজাদ হোসেনের উপস্থিতিতে আব্দুর রাজ্জাক আরও ৪ লক্ষ্য ২৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। মোট ৮ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।

খোঁজখবর নিয়ে আরো জানা যায়, বর্তমান দলিলে যে সমস্ত কাগজপত্র ও দলিল সংযুক্ত করা হয়েছে তার সবগুলোই জাল কাগজপত্র। এছাড়া রাজ্জাক যে দলিল দিয়ে জমি বিক্রি করেছেন ওই দলিলটি ১৭/৫/১৯৬৭ সালের,‌ আর রাজ্জাকের জন্ম ১০//০৮/১৯৬৭ সাল। এখানে দেখা গেছে রাজ্জাকের জন্মের তিন মাস পূর্বে দলিলটি সৃষ্টি হয়েছে। হতদরিদ্র নুরুন নাহার শ্যামনগর তৎকালীন স্বাব রেজিস্টার মহোদয়ের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু তিনি হঠাৎ বদলি হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি স্থগিত রয়েছে। বর্তমানে নুরুন নাহার টাকা অথবা জমি ফেরত পাওয়ার জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এছাড়া ২০২৩ সালে বিসমিল্লাহ সেরেস্তায় সকল কাগজপত্র জাল করে ঐ স্বাবরেজিস্টার মইনুল হককে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে আরো একটি জাল দলিল করেছিল। এ ঘটনায় কাশিমাড়ী গ্রামের মৃত্যু হযরত আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে ১২৪/২০২৩ নং মামলা করেছিল। যাহা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ ধরনের জাল দলিল লেখকদের লাইসেন্স বাতিল সহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নুরুন নাহার শ্যামনগরের দায়িত্বরত স্বাব রেজিস্টার, সাতক্ষীরা জেলা স্বাবরেজিস্টার, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্টটি শেয়ার করুন

©All rights reserved© SatkhiraVision.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com