বৃহস্পতিবার, ১৭ Jul ২০২৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর সাংস্কৃতিক পরিষদের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন গোপালগঞ্জে সমাবেশে এনসিপির নেতাকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় সড়ক অবরোধ কালিঞ্চীর কাঁচা রাস্তায় চরম দূর্ভোগ, উন্নয়নের ছোঁয়া চায় এলাকাবাসী সুন্দরবনে বনবিভাগের অভিযানে ট্রলারসহ কাঁকড়া জব্দ এনসিপির পদযাত্রা ঠেকাতে গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়ক অবরোধ টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা, সাতক্ষীরায় দূর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ এবার গোপালগঞ্জের ইউএনও’র গাড়িবহরে হা’ম’লা এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন দিল ছাত্রলীগ তালায় উন্নত জাতের গাভী পালনে সমবায় সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ শ্যামনগরে ব’জ্র’পা’তে মৎস্যচাষী নি’হ’ত

শ্যামনগরে দলিল লেখকের জাল দলিলের খপ্পড়ে পড়ে দিশেহারা নুরুন নাহার

এসএম মিজানুর রহমান, শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী গ্রামের শফিকুল গাজীর স্ত্রী হতদরিদ্র নুরুন নাহার জানান, তার স্বামীর ও শিশু পুত্রের ইটভাটা শ্রমিকের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের অতি কষ্টের টাকা ও বাবার বাড়ীর শেষ সম্বল টুকু বিক্রি করে একই গ্রামের আরশাফ গাজীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে(জাল রাজ্জাক) এর নিকট থেকে দলিল লেখক শ্যামনগর বিসমিল্লাহ সেরেস্থার এস এম মাহবুবুর রসিদ ( লাইসেন্স নম্বর ৩৬/১৯৮৭) দলিল লেখক মোঃ আমজাদ হোসেন (লাইসেন্স নম্বর ৫২/৭৮) ও মিজানূর রহমান মিন্টু ( লাইসেন্স নম্বর ৩০/১৯৮৭) এর সহযোগিতা ও তৎকালীন সাব রেজিস্টার মইনুল হককে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে গত ১৪/৩/২০২৩ তারিখে ৩০ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়। যার দলিল নম্বর ১৩৪৯। ওই দলিলে মোঃ আমজাদ হোসেন স্বাক্ষর করেছেন। জমি ক্রয় করতে নুরুন নাহার প্রথমে রাজ্জাককে ৪ লক্ষ টাকা প্রদান করে। এরপর রেজিস্ট্রি হওয়ার দিনে এস এম মাহবুবুর রশিদ, মোঃ আমজাদ হোসেন ও মিজানুর রহমান মিন্টুর উপস্থিতিতে আব্দুর রাজ্জাক আরও ৪ লক্ষ্য ২৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেন মোট ৮ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন।

তিনি আরো জানান, খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে বর্তমান দলিলে যে সমস্ত কাগজপত্র ও দলিল সংযুক্ত করা হয়েছে তার সবগুলোই জাল কাগজপত্র। এছাড়া রাজ্জাক যে দলিল দিয়ে জমি বিক্রি করেছেন উক্ত দলিলটি ১৭/৫/১৯৬৭ সালে রাজ্জাকের জন্ম ১০//০৮/১৯৬৭ সাল। এখানে দেখা গেছে রাজ্জাকের জন্মের তিন মাস পূর্বে দলিলটি সৃষ্টি হয়েছে। হতদরিদ্র নুরুন নাহার শ্যামনগর তৎকালীন স্বাব রেজিস্টার মহোদয়ের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু তিনি হঠাৎ বদলি হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি স্থগিত রয়েছে। বর্তমানে নুরুন নাহার টাকা অথবা জমি ফেরত পাওয়ার জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এ ধরনের জাল দলিল লেখকদের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নুরুন নাহার শ্যামনগরের দায়িত্বরত স্বাব রেজিস্টার, সাতক্ষীরা জেলা স্বাব রেজিস্টার, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের, দুর্নীতি দমন কমিশনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে বিসমিল্লাহ সেরেস্তার মালিক এসএম মাহবুবুর রশিদ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, যেদিন এই দলিলটি রেজিস্ট্রি হয়েছিল ঐদিন আমার সেরেস্তায় অনেক দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছিল। ব্যস্ততার মধ্যে ভালো করে কাগজপত্র দেখতে পারিনি বিষয়টি একটু ভুল হয়েছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্টটি শেয়ার করুন

©All rights reserved© SatkhiraVision.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com