বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি: ছাত্রীদের জন্য ফ্রি বিতরণকৃত স্যানিটারী ন্যাপকিন ও সাবান বিক্রি করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও মোমিনুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত ও সম্পন্ন হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ন চন্দ্র মন্ডল সরেজমিনে স্কুলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত করেন।
ছাত্রীদের অভিযোগে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ ইয়ুথ ইমপাউয়ারড প্রকল্পের আওতায় ১ মার্চ ২০২২ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত প্রকল্পটি চলমান ছিলো। কিন্তু ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত সংস্থার কর্মীরা নিজে হাতে ছাত্রীদের বিতরণ করেন এবং ঐ মাসেই ২০২৪ সালের ডিসেম্বর ও ২৫ সালের জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারী মোট ৩ মাসের ৮৭৯ প্যাকেট স্যানিটারী ন্যাপকিন এবং প্রকল্পের শেষ মাস হিসেবে ফেব্রুয়ারী মাসে প্রতিটি ছাত্রীদের একটি করে মোট ২৯৩ টি সাবান বিতরণের জন্য প্রধান শিক্ষক মোমিনুর রহমান মুকুলের হাতে তুলে দেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মোমিনুর রহমান মুকুল সে গুলো ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ না করে আত্মসাত পূর্বক অন্যত্র বিক্রয় করেন। এর প্রেক্ষিতে ছাত্রীরা ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নারায়ন চন্দ্র মন্ডল বলেন, বিষয়টি তদন্তে জন্য স্কুলে গিয়েছিলাম। ছাত্রী এবং প্রধান শিক্ষকের আলাদা বক্তব্য নিয়েছি। এখনও ওই সংস্থার কর্মীদের সাথে কথা বলা বাকী আছে। তাদের সাথে কথা বলতে পারলেই সঠিক রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব হবে।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান বলেন আমার কেউ কখনো প্যাড বা সাবান দেয়নি। তারা নিজেরাই বিতরণ করেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য প্রধা মমিনুর রহমান মুকুল বলেন, আমার কাছে কোন ন্যাপকিন বা সাবান দেওয়া হয়নি।উত্তরণের দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজেরাই ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করেন। এখন নিজেদের অপরাধ ঢাকতে উত্তরণের দায়িত্বপ্রাপ্তরা আমার উপর দোষ চাপাচ্ছেন।
এদিকে উত্তরনের কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমাদের প্রজেক্ট শেষ হয়ে যাওয়ার কারনে শেষের ৩ মাসের ৮৭৯ প্যাকেট স্যানিটারী ন্যাপকিন এবং ২৯৩ টি সাবান নিজেরা বিতরণ না করে প্রধান শিক্ষক মোমিনুর রহমান মুকুলের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। এখন যদি স্যার এটি অস্বীকার করেন তাহলে হেড অফিস থেকে কাগজপত্র এনে প্রমান করে দিতে পারবো।