বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন
এসএম মিজানুর রহমান, শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের গোনা গ্রামের পুকুরটির মধো ৩২ শতক জমি ১ নং খাস খতিয়ানের, বাকী জমি স্থানীয় আলতাফ গাজীর পৈতৃক রেকর্ডিও জমি। ৩২ শতক খাস জমি ৪০ বছর যাবত উত্তর মেনদিনগর বাইতুল সালাম জামে মসজিদ এর কমিটির সদস্য আলতাফ গাজীর নামে একসনা ডিসিআর নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে আছেন। ওই পুকুরে মসজিদের মুসল্লিরা অজু করেন। পানিটি হালকা লবণাক্ততা থাকায় এলাকার কোন মানুষ খাওয়া তো দূরের কথা রান্নার কাজেও ব্যবহার করতে পারেন না। স্বরেজমিনে গেলে এলাকাবাসীরা বলেন মৃত মোহাম্মদ সরদার এর পুত্র আব্দুর রহিম, জয়নাল আলীর পুত্র আব্দুল হামিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাসিমা,কুলসুম ও আশুরা জানান, গোনা পুকুরটির পানি লোনা হওয়ায় রান্না ও খাওয়ার অনুপযোগী। আমরা দুরমুজ খালি বিওপি ক্যাম্প থেকে পানি এনে খাওয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার করি। গোনা পুকুরটির পাশে মসজিদ থাকায় মুসল্লিরা শুধুমাত্র ওযু করেন। পুকুরটি নিয়ে স্থানীয় কতিপয় স্বার্থন্বেষী ব্যক্তি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। তাছাড়া আলতাফ গাজীর নামে পুকুরকেন্দ্র্রীক বিভিন্ন মামলা মকদ্দমায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। উপজেলার মেন্দিনগর মৌজার এস এ ২৬ ও ৬৭ নং গোনা মৌজার এস এ ১১নং খতিয়ানে ৫২৩/১৯৮২-৮৩ নং ইজারা কেসে আলতাফ হোসেনকে ইজারা দেওয়া হয়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত আলতাফ গাজী নামে একসনা ইজারা রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে এলাকার কতিপয় ব্যক্তির রেষারেষির কারণে গোনা পুকুরটি নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রকারীরা মিথ্যা অভিযোগ এনে আলতাফ গাজীর সহ মসজিদের মুসল্লিদের বিতর্কে জড়ানোর চেষ্টা করছে।