বিষয়টি নিয়ে অনলাইনসহ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর নড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। পাউবো কতৃপক্ষসহ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন ভাঙন কবলিত অংশগুলো পরিদর্শন করেন শ্যামনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন। এসময় দীর্ঘ সময় ধরে কাজ না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি কার্যাদেশ অনুয়ারী দ্রত কার্যক্রম সম্পন্নের নির্দেশনা দেন।
এদিকে কাজের ধীরগতির কারনে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে তাৎক্ষনিক ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জেভি ডকইয়ার্ড নামীয় ওই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার পাশাপাশি আসন্ন বর্ষা মৌসুমের মধ্যে সিংহভাগ কাজ সম্পন্নের নির্দেশ প্রদান করা হয়। এছাড়া যেকোন প্রকারে লোকালয়ে পানির প্রবেশ ঠেকানোর ক্ষেত্রে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহনেরও পরামর্শ দেয়া হয়।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন বলেন, কাজে গতিহীনতার কারনে পাউবোর পক্ষ থেকে ঠিকাদারকে ৫০ লাখ জরিামানা করা হয়েছে। এছাড়া কাজের গতি বৃদ্ধি করে বর্ষা মৌসুমের মধ্যে ভাঙন কবলিত অংশসমুহকে সুরক্ষিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
এদিকে পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘দ্রত সময়ের মধ্যে পাউবো’র পক্ষ থেকে ডিজাইন করে ঢাকায় প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হবে। পরক্ষনে ঢাকা থেকে টিম এসে প্রয়োজনীয় মাটির পরিমাপ সংগ্রহ করেই মাটির কাজ শুরু করা হবে।’
উল্লেখ্য, জাইকার অর্থায়নে ২০২২ সালে প্রায় ৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শ্যামনগরের পাঁচ নং পোল্ডারের পাঁচটি পয়েন্টে কাজ শুরু হয়। দুই বছর মেয়াদী উক্ত প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ ২০২৫ সালের মাঝামাঝি এসেও কাজের মাত্র ২০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।