বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমান মাদকসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের পূর্ব নারায়নপুর গ্রামের মৃত শেখ হাবিবুর রহমানের ছেলে শেখ ইয়াসিন আলী, বাথুয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত ভগিরথ সরকারের ছেলে ওমাদ সরকার এবং মতেষপুর গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে নবাব আলী।
এসময় দুটি ২০০ লিটারের ড্রাম, একটি ৪০ লিটারের ড্রাম, ৯টি ২ লিটারের ড্রাম এবং ৫০০ মি.মি এর ১০টি বোতলে ৪৬২ লিটার অবৈধ বাংলা মদ, ৪৬ ভরি অবৈধ স্বর্ণ (মাদক সেবীদের থেকে বন্ধককৃত), মাদকসেবীদের দ্বারা স্বাক্ষরকৃত বিভিন্ন ফাকা স্টাম্প, ১৮ টি চেক বই এবং ২০৪০ ভারতীয় রুপি উদ্ধার করা হয়।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় স্থানীয় একজন মাদক ব্যবসায়ী বৈধ লাইসেন্সকৃত মদ বিক্রির পাশাপাশি অবৈধ মদ বিক্রি করে আসছে। তার সর্বমোট তিনটি মদের দোকানের মধ্যে একটি বৈধ দোকান এবং দুইটি অবৈধ দোকান রয়েছে। অবৈধ দেশী মদ এলাকার বিভিন্ন মুদি দোকানে, স্কুল অথবা কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের কাছে এবং জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপের কাছে পাইকারি এবং খুচরা বিক্রয় করে আসছে।
সূত্র জানায়, উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে কালিগঞ্জ ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো: নাহিদুল হক খান এর নেতৃত্বে একটি টহল দল উক্ত এলাকায় পৌঁছায় এবং হাতেনাতে দুইজন অবৈধ মদ ব্যবসায়ীকে খুচরা ১৭ লিটার দেশী মদসহ গ্রেপ্তার করেন। পরবর্তীতে পুলিশ, ডিএসবি, ইউএনও এবং এসি লেন্ড ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
একপর্যায়ে বৈধ মদ ব্যবসায়ীর কর্মচারী সকলের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় এবং মদের দোকানের মালিক কিছু সময় পর হাজির হন এবং মদ বিক্রি রেজিস্টার অনুযায়ী ১৭০০ লিটার দেশী মদ স্টোরে মজুদ আছে বলে জানান। পরবর্তীতে সকলের উপস্থিতিতে স্টোরে মজুদকৃত মদ পরিমাপ করা হলে সর্বমোট ২ হাজার ১৪০ লিটার পাওয়া যায়। অতিরিক্ত ৪৪০ লিটার অবৈধ বলে মালিক স্বীকার করেন এবং ডিএন্ডসি ডিপার্টমেন্ট এর প্রতিনিধি উক্ত ৪৪০ লিটার বৈধ নয় বলে জানান।
পরবর্তীতে মদের দোকানটি তল্লাশি করা হলে মাদক সেবীদের নিকট থেকে অবৈধভাবে বন্ধককৃত বিপুল পরিমাণ গয়না,স্বাক্ষরকৃত ফাকা স্টাম্প এবং ফাকা ব্যাংক চেকের সন্ধান পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত গয়না স্থানীয় স্বর্ণকারের দোকান থেকে সেনাবাহিনী, পুলিশ,ডিএসবি, ডিএন্ডসি এবং এসিল্যান্ডের উপস্থিতিতে পরিমাপ করা হয়। পরবর্তীতে জব্দকৃত মালামালসহ তিনজন আসামিকে কালিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।